নিউজ ডেস্ক : মোদী সরকারের বৈদেশিক নীতির আরো এক ব্যর্থতা সামনে এলো। এবার কলম্বো বন্দরের পূর্ব কন্টেইনার টার্মিনাল তৈরীর জন্য স্বাক্ষরিত ভারত শ্রীলংকা এবং জাপানের ত্রিদেশীয় চুক্তি থেকে একপাক্ষিকভাবে ভারতকে বাদ দিলে শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তিতে এখনো পূর্ব স্থানে রয়েছে জাপান। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এই চুক্তিতে জাপানের সামিল হওয়ার কথা ছিল না। শ্রীলঙ্কায় ভারত বিরোধী শক্তি গুলোর রোষের হাত থেকে বাঁচতে জাপানকে সামিল করা হয়। গত ১লা ফেব্রুয়ারি শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই চুক্তি থেকে ভারতকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় চীনের অতিরিক্ত প্রভাব মোকাবেলায় ভারত ২০১৯ শ্রীলঙ্কার রণিল বিক্রমসিংহে সরকারের সময়ে কলম্বো বন্দরের ইস্ট কন্টেইনার টার্মিনাল গড়ে তোলার জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করার চেষ্টা করে। কিন্তু বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলো ভারতের বিরোধিতা করায় এই চুক্তিতে জাপানকে শামিল করা হয়। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই চীনের সাহায্যে কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কন্টেইনার টার্মিনাল গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। এই টার্মিনালের ৮৫% অংশীদারিত্ব চীনের হাতে রয়েছে। এর কারণেই ভারত মূলত কলম্বো বন্দরের ইস্ট কন্টেইনার টার্মিনাল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
ত্রিপাক্ষিক ভাবে এই প্রকল্পটি গড়ে তোলার জন্য খরচ ধরা হয়েছিল আনুমানিক ৫০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বর্তমান শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা না করেই কার্যত বাতিল করে দিল। এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রকের এক বিশিষ্ট আধিকারিক জানিয়েছেন, এই চুক্তিটি তিনটি দেশের অংশগ্রহণে স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাই শ্রীলংকা সরকার কোনভাবেই একপাক্ষিকভাবে এটি থেকে ভারতকে বাতিল করতে পারে না।
উল্লেখ্য দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে হাম্বানটোটা বন্দরটি শ্রীলংকা সরকার ৯৯ বছরের জন্য চীনের কাছে লিজ দিয়েছে। সেই কারণে শ্রীলঙ্কায় এক পরিত্যক্ত বিমানবন্দর নতুন করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। প্রাথমিকভাবে শ্রীলংকার রনির বিক্রমসিংহে সরকার এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে অনুমতি দিলেও পরবর্তীতে ভারত সরকারকে এই প্রকল্প থেকে বাদ দেয়।