নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিলেও এবার বার্মিজদের অতিথি হিসেবে গ্রহণ করছে মোদি সরকার

নিউজ ডেস্ক : নির্যাতিত অত্যাচারিত এবং মায়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের কোনমতেই আশ্রয় না দিলেও এবার মায়ানমারের অমুসলিম জনজাতির লোকজনদেরকে সেদেশে সামরিক শাসনের মধ্যে অতিথি হিসাবে গ্রহণ করছে মোদি সরকার। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার থেকে মায়ানমারের অনেক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্য প্রবেশ করেছে। যাদেরকে অতিথি হিসেবে সব মর্যাদা দিচ্ছে সরকার।

ভারতের মিজোরামের দুটি জেলা চম্পাই এবং সেরছিপ এ মায়ানমার থেকে আসা লোকজন আশ্রয় গ্রহণ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লোকজনের মধ্যে সেখানকার অনেক পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। মায়ানমার থেকে অনেক মানুষ যে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং সরকার যে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে এটি স্বীকার করেছেন ওই দুই জেলার ডেপুটি কমিশনাররা।

সেরছিপ জেলার ডেপুটি কমিশনার কুমার অভিষেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে চলে এসেছে তবে তাদের মধ্যে কোন পুলিশ কর্মী রয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। তাদেরকে স্থানীয় এক কমিউনিটি হলে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তাদের করো না পরীক্ষা করা হয়েছে ইতি মধ্যেই। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে অভিষেক মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, মায়ানমার থেকে আসা সমস্ত লোকজনের জন্য খাদ্য এবং পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে চম্পাই জেলার ডেপুটি কমিশনার মারিয়া যুয়ালি জানিয়েছেন, তার জেলাতেও বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বেশকিছু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে মায়ানমার থেকে আসা অধিকাংশ লোক মায়ানমারের চিন জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য ভারতের মিজোরাম রাজ্যে চিন জনগোষ্ঠীর বহু মানুষ বসবাস করেন। মায়ানমারের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন এই চিন জনগোষ্ঠীর সমর্থক। মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সুচি এবং তাদের প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করে এক বছরের জন্য সেখানকার সামরিক শাসকরা দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করায় এম জেড পি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে দেশটিতে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।

Latest articles

Related articles