নিউজ ডেস্ক : ১৯৯০ এর দশকে ভারতীয় অর্থনীতিক যখন ধুকছিল বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারে সংকটের কারণে, সেই সময় এলপিজি ফর্মুলা নিয়ে হাজির হন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। তারপর থেকে নিজের হাতেই গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল বৃহৎ অর্থনীতির স্থান লাভ করেছিল। কিন্তু তারপর আসে মোদির আচ্ছে দিনের পালা। আসে অন্ধ ভক্তি, সাম্প্রদায়িকতা আর অর্থনৈতিক বিনাশের যুগ অর্থাৎ মোদী জামানা। আর এই মোদী জমানায় একের পর এক অবাস্তব, অদূরদর্শী, অপরিকল্পিত এবং অসহনশীল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এর ফলে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির স্থান হারিয়ে ফেলে খুব শীঘ্রই। কিন্তু তাই বলে এতটা অধঃপতন প্রত্যাশা করেননি কোন ভারতীয়।
২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার স্বপ্ন দেখানো আর জুমলা বাজি করা মোদি সরকারের হাতে ৬ বছর আগে বিশ্বের দ্রুততম বিকাশের বৃহৎ অর্থনীতি আজ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বিশ্বের ১৯৩ টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে ১৬৪ অবস্থানে। এই তালিকায় ভারতের থেকে অনেক ভালো অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সমস্ত দেশ গুলি। রুগ্ন অর্থনীতি নিয়ে খোঁড়াতে থাকা পাকিস্তানও এদিক থেকে অনেক এগিয়ে মোদির আচ্ছে দিন এর ছোঁয়া পাওয়া ভারতীয় অর্থনীতির তুলনায়।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ অর্থনৈতিক জার্নাল statstimes.com এ। এ ব্যাপারে আর্টিকেল লিখেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ডঃ কৌশিক বসু। আর্টিকেলটি আইএমএফ থেকেই নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৩ টি দেশের মধ্যে তৃতীয়, যেখানে ভারতের প্রবলতম প্রতিদ্বন্দী এবং জরাজীর্ণ অর্থনীতির ভারে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত পাকিস্তানের অবস্থান ২৮ তম। নেপালের অবস্থান, যেখানে ২৬ তম সেখানে চীনের কাছে ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলংকার অবস্থান ৮৩ তম। জিএসটি, নোট বন্দির মত অদূরদর্শী এবং সম্পূর্ণ ব্যর্থ অর্থনৈতিক সংস্কারের পর করোনার ধাক্কায় বেসামাল ভারতীয় অর্থনীতি নাকি ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোদি সরকারের কোনো এক ম্যাজিকের প্রভাবে। তবে এই তথ্য মোদির অন্ধ ভক্ত দের সেই ভক্তি ভরা বিশ্বাসের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাতো বলা যায়না তবে এই সত্য মোদি সরকারের মিথ্যা সবার সামনে তুলে ধরবে এটা তো নিশ্চিত।