মুসলিমদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাশ্মীরে মোদী সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতারা

নিউজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়ে রাজ্য থেকে দুই ভাগে বিভক্ত করে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরে পরিণত করার ঘটনায় অনেকটাই উচ্ছসিত ছিল বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখের অধিবাসীরা। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির প্রভাব ক্ষেত্র লাদাখে চোর আগে দেখা দৃশ্যপট এখন পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। তারাও কারগিলের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে এক কন্ঠে দাবি করছেন পৃথক পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা জন্য। সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান লক্ষ্য লাদাখ এবং কাশ্মীরের জনসংখ্যার প্রকৃতি পরিবর্তন করা। সেই উদ্দেশেই সেখানে ভারতের অন্যান্য অংশের অধিবাসীদের জন্য জমি ক্রয় কে বৈধতা দিয়েছে মোদী দরকার। সে পদক্ষেপেরও বিরোধিতা করেছেন লাদাখের বিজেপি নেতারা। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে লাদাখের বিজেপি নেতারা। তারা সেখানে ভূমিপুত্র ছাড়া অন্য কেউ যাতে জমি যাতে না ক্রয় করে এবং অন্য কেউ যাতে সেখানকার চাকরিতে ভাগ বসাতে না পারে তার দাবি তুলেছেন স্থানীয় নেতারা। এর আগেও তারা স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলেছেন। এ নিয়ে ১ অগস্ট জরুরি বৈঠক করেন দুই এলাকার রাজনীতিকরা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা সর্বসম্মত ভাবে সেখানে খারিজ করেন তাঁরা। বরং আালাদা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা-সহ অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে দরবারের জন্য একমত হন সকলে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতারাও। তাঁরাও আলাদ রাজ্যের দাবি সমর্থন করেন।

২০১৯ সালের ৪ অগস্ট পর্যন্ত লাদাখ জম্মু-কাশ্মীরের অংশ ছিল। মোদী সরকার অমিত শাহের পরিকল্পনায় প্রত্যাহার করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। বিভক্ত করে দেওয়া হয় জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ। তখন সারা ভারতে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হলেও লাদাখের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। কিন্তু এখন কংগ্রেস, বিজেপি এবং আম আদমির নেতারা সব মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং বহিরাগতদের জমি ক্রয়ের ব্যাপারে।

এর আগে, লেহ-তে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা মেনে নিয়েছিলেন। শুধু পৃথক সংবিধানের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে লাদাখ। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মর্যাদার পাশাপাশি জমি এবং চাকরির সুরক্ষাও চায় লাদাখ, যাতে বাইরের কেউ সেখানে এসে জমি কিনে বসবাস এবং চাকরি করতে না পারেন। বিশেষ মর্যাদা থাকাকালীন এই ব্যবস্থা বহাল ছিল।

Latest articles

Related articles