রামায়ণের সূর্পণখা চরিত্র এবার মঞ্চে, সাড়া ফেলেছে দর্শক মহলে

এনবিটিভিঃ  বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রকে নিয়ে এর আগে মঞ্চে অনেক কাজ হয়েছে। যেমন দ্রৌপদী, ভীষ্ম, গান্ধারী, শকুনি সহ প্রমূখ। কিন্তু রামায়ণের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সূর্পণখা মঞ্চেও রয়ে গেছে উপেক্ষিতা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে ন্যাশেনাল মাইম ইনস্টিটিউটে এই উপেক্ষিতা নারীকে প্রথমবারের মতো মঞ্চে উপস্থাপন করে বাগুইআটি সহজিয়া নাট্যসংস্থা তাদের অষ্টম প্রযোজনা “সূর্পণখা উবাচ”-এ।

ঢোল হাতে অভিনয় মঞ্চে।

সূর্পণখাকে নিয়ে শ্রী প্রশান্ত সেন রচিত একটি গবেষণাধর্মী বারো পর্বের কাব্য “সূর্পণখা উবাচ”, যা স্বয়ং প্রশান্ত সেনের সম্পাদনা ও সুনিপুণ নির্দেশনায় এবং শ্রীমতী অর্ণিশা সেনের অনবদ্য অভিনয়ে মঞ্চে সফলভাবে উপস্থাপিত। স্বরযন্ত্রের অনায়াস প্রক্ষেপণে অর্ণিশা সূর্পণখা ছাড়াও হয়ে উঠেছেন মহাকাব্যের অন্যান্য চরিত্র। মঞ্চে সাবলীল আভরণ পরিবর্তনে কখনো তিনি রাক্ষসরাজকুমারী, কখনো শৃঙ্গারহীন দানববধূ আবার কখনো-বা মায়াবনবিহারিণী। বারোটি পর্বের পৃথক পৃথক দৃশ্যকল্প তাঁর অভিনয় বৈচিত্র্যে প্রকট হয়ে ধরা দিয়েছে দর্শকদের।

অভিনয় মঞ্চে।

সূর্পণখার অঙ্গনির্দেশনা করেছেন শ্রীমতী শালিনী বোস। এই নাটকের অনবদ্য আবহ করেছেন জ্যোতিষ্ক চ্যাটার্জী (কণ্ঠ ও হারমোনিয়ামে) ও তন্ময় মণ্ডল (নাল-ঝাঁঝ-শঙ্খ)। নির্দেশকের মঞ্চভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছেন সুদান হালদার, পপি দাস, প্রত্যুষা সেন ও কৃত্তিকা বোস। আলোকসম্পাতে সুবল কর্মকার ও তাঁর সহকারী সৈকত মান্না প্রশংসনীয়। পোশাক ও রূপসজ্জায় তনিমা মুখার্জী ও পপি দাস। প্রপস ও সাজসরঞ্জাম ব্যবস্থাপনায় পপি দাস ও রেণু দাস।

নাটকের ভাষা, অভিনয়, প্রয়োগ সব মিলিয়ে কাবাশ্রিত সহজিয়ার এই নাটকটি বহু মঞ্চে অভিনীত হয়ে বহু বহু দর্শকদের মন জয় করার যাবতীয় কাঁচামাল মজুত আছে এই নাটকে।

Latest articles

Related articles