নিউজ ডেস্ক : সব ক্ষেত্রে সীমাহীন ব্যর্থতা, ভুয়া প্রতিশ্রুতি, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষকে পুঁজি করে দেশ চালানোর দিন শেষ হয়ে আসছে গেরিয়া শিবিরের জন্য। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ধীরে ধীরে ডুবন্ত তরীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে গেরুয়া শিবির ছাড়ছেন সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে বিজেপি যুব শাখার ৩৫ জন সদস্য আম আদমি পার্টিতে (এএপি) যোগদান করেন। আবার রবিবার ও সোমবার ৩০০ এরও বেশি বিজেপি নেতা কর্মী যাদের বেশিরভাগ যুবক যোগ দিয়েছে আম আদমি পার্টিতে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ছেড়ে আপে যোগ দিচ্ছে বিজেপির বহু নেতা কর্মী বলে গুজরাটের সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
রবিবার, দলটির যুব শাখার নেতা ভি রাদাদিয়া এর নেতৃত্বে ২০০ জন বিজেপি কর্মী বিজেপি ত্যাগ করে আপে যোগ দেন। তারা পাঁচ থেকে দশ বছর ধরে গেরুয়া পার্টির সাথে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের আপ মুখপাত্র যোগেশ যাদওয়ানি। সোমবার, সুরাট নগরীর কাঠোদারা গ্রামে শতাধিক বিজেপি কর্মী এএপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
সুরাট শহর বিজেপি সভাপতি নীরঞ্জন জানজমেরা বলেন, “তারা যাতে পার্টি ছেড়ে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ভারাচা অঞ্চলে আমাদের দলের যুব সেল নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছি।” তবে বিজেপি ত্যাগ করা নেতা কর্মীরা বিজেপির সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা করতে সম্মত নয় বলে জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এক বিজেপি যুব নেতা বিপুল সখিয়া (৩২) বলেছিলেন, “আমি বিজেপির সাথে দশ বছর ছিলাম। যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের সাথে ছিলেন তাদের পক্ষ থেকে সরানো হচ্ছে এবং নতুন মুখকে পদ দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্যই আমি বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং এএপি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাজ আমরা দেখেছি। আমরা সুরাট শহর যুব শাখার সভাপতি মহেন্দ্র দেশাই, এবং সুরাট শহর বিজেপি সভাপতি নিরঞ্জন জানজমেরাকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। ”
গুজরাট আম আদমি পার্টির মুখপাত্র যাদওয়ানি বলেছিলেন, “যুবকরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিজেপির কার্যধারা বুঝতে পেরেছে। তারা আমাদের দলের কাজও দেখেছে তাই তারা এএপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ”