ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষ খাবারের অভাবে পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে সেগুলো দিয়ে আটা তৈরি করে খাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশনএইড।
গাজার দুর্ভিক্ষ এখন অতি নিকটে উল্লেখ করে তারা বলেছে, গাজার ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে শিশুরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, গাজায় খাদ্যের অভাব ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতিতে পৌঁছাচ্ছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেকে এখন তীব্র খাদ্য-সংকটে ভুগছে। কেউ কেউ খাবারের জন্য এতটাই মরিয়া যে তারা এখন পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে সেগুলো আটা হিসেবে ব্যবহার করছেন। উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন।
গাজায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সমন্বয়ক শন কেইসি বলেন, উত্তরাঞ্চলের খাদ্য পরিস্থিতি ভয়ংকর। সেখানে প্রায় কোনো খাবার নেই আর যাদের সঙ্গেই আমরা কথা বলি সবাই খাবার ভিক্ষা চায়। গাজার অনাহারে থাকা মানুষদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই।
জানা গেছে, ইসরাইলের হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। কারও পক্ষে এখানে যাওয়াও অত্যন্ত কঠিন।