রানীনগরঃ শীতের শুরুতেই রাণীনগর এলাকার বাংলাদেশ লাগোয়া চর সীমান্তের এই কালীপুজো, যার জৌলুস হার মানায় বছরের অন্যান্য নামিদামি পুজো গুলোকেও। জেলার নানান প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে এই পুজো উপলক্ষে। আগামী মঙ্গলবার তারই সূচনা হচ্ছে। আর সেই উপলক্ষেই জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
দেশভাগ হয়েছে অনেক আগেই। তবুও কিছু কিছু রীতিনীতি,ঐতিহ্য রয়ে যায় কাঁটাতারের ঊর্ধে। চর দুর্গাপুরের এই কালীপুজোর আদি সূত্রপাত বাংলাদেশে। রাজশাহীর টলটলি নামক গ্রামেই নাকি এই কালীপুজো করা হত বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রবীণরা। পরবর্তীতে দেশভাগের পর এখানে চর দুর্গাপুরে সেই কালীমন্দির স্থাপন করা হয়। বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের খয়ের কাঠের খুঁটিতে শামিয়ানা টাঙিয়েই পুজো হত সীমান্তের এই গ্রামে। কাঠামোটাও ব্যবহার করা হত সেই বাংলাদেশ থেকে আনা পুরোনো কাঠেই।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাতেও ঘুন ধরেছে। তাই সেসব এখন আর ব্যাবহার করা হয়না।
এবছর প্রায় ২৫ ফুট লম্বা কালীর পাশাপাশি প্রায় ৪০ টি মনসা কালী পূজো হবে। এছাড়াও পশু বলির রেওয়াজ আছে এখানে। গত বছরে প্রায় ৪৭৫ টি বলি হয় এই কালীপূজা উপলক্ষে।