সাবিবুর খান, কলকাতা: অবশেষে জয়। বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে নার্সিং কর্মীদের আন্দোলনের ১২ দিনের মাথায় শুক্রবার সুর নরম করল সরকার। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করলেন, ৩ মাসের মধ্যে ন্যায্য বেতন কাঠামো চালু করা হবে। সরকার পে কমিশন ফাইল পাঠিয়েছে। এই ঘোষণার পরই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেয় নার্সিং সংগঠন।
সম পদে, সম বেতনের দাবি নিয়ে কয়েকদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে আন্দোলন করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একই গ্রেডের বিভিন্ন পেশার ক্ষেত্রে যা বেতন দেওয়া হয় তার থেকে কম দেওয়া হয় নার্সিং কর্মীদের। যদি তাঁদের বেতন বাড়ানো না হয় তাহলে একই গ্রেডের অন্য পেশায়ও কমিয়ে দেওয়া হোক বেতন। আর এই অভিযোগ নিয়েই আন্দোলনে নামে নার্সিং সংগঠন।
সরকারের তরফ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ন্যায্য বেতন পরিকাঠামো চালু নাহলে ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছে নার্সিং সংগঠন।
প্রসঙ্গত, করোনা কালে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সদের অবদান অনস্বীকার্য। এই মারণ ভাইরাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে হাসপাতালে কর্তব্য পালন করেছেন নার্সরা। সারাক্ষণ পিপিই কিট পরে পরিবার ভুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে চলেছেন তাঁরা। দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সবসময় না থাকলেও নার্সরা সেই কাজ চালিয়ে যান। ভয়ডরহীন অনেক নার্সিং কর্মীরা জীবন যুদ্ধে হার মানতে বাধ্য হয়েছেন। সাধারণ মানুষের করোনা জয় করাতে অনেক নার্সই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। তাও কাজ থেকে পিছমা হননি তাঁরা। কিন্তু আসল ‘কোভিড যোদ্ধা’ নার্সদের ক্ষেত্রেও বেতনবৈষম্য অবাক করেছে অনেককে।
৩ মাসের মধ্যে কি সুরাহা মিলবে? তা সময় বলবে। তবে আপাতত সরকারের এমন ঘোষণায় ১২ দিনের মাথায় তুলল নার্সিং সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ। খুশি নার্সিং কর্মীরা।