
নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়াল স্ট্রীটে, ট্রাম্প বিল্ডিংয়ের সামনে পালেস্তাইনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ করল আমেরিকার প্রগতিশীল মানুষ।
সম্প্রতি ইজরায়েল যুদ্ধ-বিরতি লঙ্ঘন করে পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮৩ জন শিশু রয়েছে। ইজরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞের পেছনে রয়েছে আমেরিকার সরাসরি মদত। তারই প্রতিবাদে, শতাধিক মানুষ ট্রাম্প বিল্ডিংয়ের বাইরে গত ১৯ই মার্চ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভরত এক বৃদ্ধার কথা অনুযায়ী, “যুদ্ধ থামাতে চাইলে রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তাই একমাত্র যুদ্ধ থামানোর পথ। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে ভিয়েতনাম যুদ্ধ থামিয়েছিলাম। এই যুদ্ধও আমরা থামাব, এটাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস!”

অন্যদিকে, পালেস্তাইনকে সমর্থন করার অভিযোগে বদর খান সুরি নামে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক-ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর। তার ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার প্রমাণ মিলেছে। অথচ জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র এবিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য-প্রমাণ নেই।
পৃথিবীর সমস্ত শুভবুদ্ধি-সম্পন্ন ও গণতন্ত্রকামী মানুষ যখন ইজরায়েলের বর্বর আচরণের বিরোধিতা-সহ পালেস্তাইনের প্রতি সঙ্ঘতি জানাচ্ছেন, তখন আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন সেসব কার্যকলাপকে সন্ত্রাসবাদের পক্ষাবলম্বন বলে বিবেচিত করছে। গণহত্যাকারী ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানইয়াহুকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। আমেরিকায় যে বর্তমানে ট্রাম্পের শাসনকালে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা বিপন্ন, বদর খান সুরির গ্রেফতারিই তার জলন্ত প্রমাণ ।