
জম্মু-কাশ্মীর: সিআরপিএফের ৪১তম ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল মুনির আহমেদকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে একজন পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন এবং তার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাকে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সিআরপিএফের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এই কর্মকাণ্ডকে “চাকরির নিয়ম লঙ্ঘন ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতিবিপদের ঝুঁকি” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, জম্মুর ঘোরোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির আহমেদ ২০১৭ সালে সিআরপিএফে যোগদানের সময় একটি চিঠির মাধ্যমে বিভাগীয় কর্তাদের জানান যে তিনি পাকিস্তানের এক নাগরিককে বিবাহ করতে ইচ্ছুক। তবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষা না করেই ২০২৪ সালের ২৪শে মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মিনাল স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতে এসে মুনিরের সঙ্গে কাশ্মীরে থাকতে শুরু করলেও ২০২৫ সালের ২২ মার্চ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সরকারি নির্দেশে তাকে দেশ ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়।
গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল করে। তবে মিনাল হাইকোর্টের মাধ্যমে ১০ দিনের বাড়তি সময় পান ও ভারতে থাকার অনুমতি লাভ করেন। এ বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।

সিআরপিএফের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মুনিরের গোপন বিয়ে ও ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণের পরও স্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা সেনাবাহিনীর নিয়মাবলি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কঠোর নজরদারি ও তদন্ত প্রয়োজন, বিশেষত যখন দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম তীব্র রয়েছে।
এই ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গভীর তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।