নিউজ ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন মাসখানেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হিসাব মতে দেখা যাচ্ছে গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় শুভেন্দু অধিকারী তার সম্পত্তি বাড়িয়েছেন ৬৮ শতাংশের বেশি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি গতবারের তুলনায় আছে ৪৫%।
আগামী শনিবার থেকে রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হবে ১লা মে তারিখে। এবার দ্বিতীয় দফার যে ১৭১ জন প্রার্থী তাদের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের জন্য লড়াই করবেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে বয়স এবং সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ করল ইলেকশন ওয়াচ নামক এক বেসরকারি সংস্থা।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ১৭১ প্রার্থীর মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এবার বিধানসভা ভোটের এপি সেন্টার নন্দীগ্রাম। ইলেকশন ওয়াচ বলছে, নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০১৬-র তুলনায় সম্পত্তি কমেছে ৪৫.০৮ শতাংশ।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি বেড়েছে ৬৮.৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ২৬।
যে সমস্ত প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গতবারের তুলনায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পাঁশকুড়া পূর্বের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি শেখ। তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ২১৪১.৪৮%। কাকদ্বীপ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরার সম্পত্তি বেড়েছে ৭৩৫.৯৫%। তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৪২.৬৪%।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও নানা তথ্য দিয়েছে এই সংস্থা। দ্বিতীয় দফার ১৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে। ১০১ জন স্নাতক বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন।
৪ জন প্রার্থী শুধুমাত্র স্বাক্ষর। আর ১৭১ জনের মধ্যে একজন নিরক্ষর প্রার্থীও রয়েছেন।