NIA কার জন্য কাজ করে? বিজেপিতে যোগ দিতে বলেছিল রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি!

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210325_121129

নিউজ ডেস্ক : কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এনআইএ সিবিআই ইডি এর মতো সমস্ত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ব করেনিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিরোধিতার এমন অভিযোগ বহুদিন থেকে। শুধু বিরোধী নয় সাধারণ মানুষের একাংশ এবং বুদ্ধিজীবীরাও এই অভিযোগ করে আসছেন বহুদিন থেকে। তবে পূর্বে বেশ কিছু ঘটনার মতো এবার তা কার্যত প্রমাণিত হয়ে গেল। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিধানের জন্য তৈরি একটি সংগঠন এক বিশেষ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা কোন ব্যক্তিকে দেশের এক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে প্রস্তাব দিচ্ছে। বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেয়া হবে সমস্ত অভিযোগ থেকে। শুধু তাই নয় তাকে মন্ত্রী ও করে দেবে বিজেপির সঙ্গে মিলে তাও বলা হয়। বর্তমানে এনআইএ এই কাজই করছে। বিশ্বাস না হলে ও এটি নির্মম সত্য। শুধু NIA নয়, তালিকায় আছে সিবিআই ইডি এর মতো আরো অনেক রাষ্ট্রীয় সংস্থা। এমনকি নির্বাচন কমিশন যে মোদির জন্য কাজ করছে তা বলেছে সুইডেনের এক আন্তর্জাতিক সংস্থা।

 

‘বিজেপি (BJP) অথবা আরএসএসে (RSS) যোগ দিলে জামিন মিলবে। নাহলে পচে মরতে হবে জেলে। কার্যত এমনই প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অসমের বিধানসভা নির্বাচনে ‘এক্স ফ‌্যাক্টর’ হয়ে ওঠা অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন এনআইএ’র (NIA) বিরুদ্ধে। জেলে তাঁর উপরে হওয়া অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর গড়া নতুন রাজনৈতিক দল রাইজোর দল একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। সেই চিঠিতেই এমন অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে অখিলকে।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম পরিষদে’র নেতা অখিলকে। তখন অসম (Assam) উত্তাল CAA বিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলার নাগাড়ে অবনতি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জোরহাট থেকে অখিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অসমের নাগরিক সমাজ দীর্ঘ সময় ধরে গগৈয়ের মুক্তির দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। তবে জেলে থাকলেও অখিলের দল কিন্তু সক্রিয়। অসম বিধানসভা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে রাইজোর দল। আরেক আঞ্চলিক দল এজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেছে তারা।

এই পরিস্থিতিতে অখিল একটি চিঠি লিখেছেন জেল থেকে। সেখানেই এনআইএ’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। অখিলের দাবি, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালতের অনুমতি ছাড়াই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এনআইএ’র সদর দপ্তরে প্রবল অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। একথা জানিয়ে অখিল লিখেছেন, ”এনআইএ’র সদর দপ্তরে আমাকে এক নম্বর লকআপে আটকে রাখা হয়েছিল। একটা মাত্র নোংরা কম্বল দেওয়া হয়েছিল। ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মেঝেতে ঘুমতে হয়েছিল। আমি এই অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদ করার পরে ওরা অন্য একটা প্রস্তাব দিল। আমাকে জানানো হয়েছিল বিজেপিতে যোগ দিলে আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারব। মন্ত্রীও হতে পারব।”

অখিল জানাচ্ছেন, তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও আরেক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই প্রস্তাবেও রাজি হননি অখিল। এরপরই তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাদের প্রস্তাব না মানলে অন্তত ১০ বছরের জন্য জেলেই থাকবে তাঁকে। নিজের সেই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অখিলের দাবি, ”প্রবল শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মুখে পড়ে আমি সেই রাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর