মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে এবার রাজ্যপাল করবে মোদি সরকার, তাবেদারির পুরস্কার; বলছে বিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক : মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সুনিল আরোরাকে বিজেপির সমর্থনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বারংবার। এমনকি ব্যালটের পরিবর্তে বিরোধীদের বহু দাবি এবং প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইভিএম এর ব্যবহার চালু রেখে মোদি সরকারের পক্ষ সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মোদির সমালোচকদের দাবি, মোদি ম্যাজিক এর মূল হাতিয়ার ইভিএম কেলেঙ্কারি। আর সুনিল আরোরা সেই কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা। আর সেই জন্যই এবার  তাকে অবসরের পর রাজ্যপাল করতে চলেছে মোদি সরকার। বিরোধীরা বলছেন, আর একটা রঞ্জন গগৈ পেল দেশ যিনি নিজের পদমর্যাদার বিশ্বস্ততা বিক্রি করেছেন নিজের আখের গুছিয়ে নিতে। যদিও খবরটি পাওয়া গেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কোনো মন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশনের হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সুনিল আরোরা। তা ঠিক ১৪ মাসের মধ্যে তিনি ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত হন ১৯৮০ সালের আইপিএস ব্যাচের এই অফিসার। তার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য এবং কেন্দ্রে স্তরের নির্বাচনে বিজেপিকে বিশেষ করে মোদি অমিত শাহের জুটিকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তার শেষ নির্বাচন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বস্তুত, সুনীল অরোরা (Sunil Arora) শুরু থেকেই বিজেপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর এবার সুনীল অরোরাকে ‘পুনর্বাসন’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই মুহূর্তে গোয়ার রাজ্যপাল পদ শূন্য। মাস ক’য়েক আগে গোয়ার রাজ্যপালের ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সত্যপাল মালিককে। তারপর থেকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে গোয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে সুনীল অরোরাকেই এবার গোয়ার রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাঁর কাজে লাগবে।

Latest articles

Related articles