ধাক্কা গেরুয়া শিবিরের জন্য! ভোট কেন্দ্রে থাকবে রাজ্য পুলিশ, জানাল কমিশন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

State-police

নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। ঠিক এই সময়ে এক দুঃসংবাদ বিজেপি শিবিরের জন্য। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোন রাজ্য পুলিশ থাকতে পারবে না, এই দাবি আগাগোড়া করে আসছে গেরুয়া শিবির। প্রাথমিকভাবে তেমনটা হবে বলে শোনাও যাচ্ছিল। কিন্তু কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের পর জানা গিয়েছে এমন কোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের প্রত্যেকটা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন থাকবে রাজ্য পুলিশের সদস্যরা। মূলত ভোটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর ভাষাগত দূরত্ব ঘোচাতে এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। তবে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র গুলির সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর হাতে থাকছে।

 

বস্তুত, বুথের একশো মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে পা ফেলতে দেওয়া হবে না, এমন কোনও সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফে কখনওই নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু। যদিও ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপির দাবি, বুথে শুধুমাত্র আধাসেনাকেই নিয়োগ করতে হবে। যার বিরোধিতা করে দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ভাষাগত সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে বুথে রাজ্য পুলিশ রাখার জোরালো দাবি জানিয়েছে তারা।

 

যদিও কমিশনের দাবি, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করে মোতায়েন পরিকল্পনা নির্ধারিত হয়। পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনমতো আধাসেনা ও রাজ্যপুলিশের জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় মাও অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম-সহ তিন জেলার ৩০ আসনে দশ হাজারের কিছু বেশি আসনে ৮ হাজার ৯২৬ জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করা হবে। এঁরা মূলত ভোটার লাইন সামলানোর কাজ করবেন। এছাড়াও ১১২ ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে। সেক্টর অফিস-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা দায়িত্ব সামলাবেন। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের ১৪৭০ এসআই ও এসআই পদমর্যাদার আধিকারিক নিয়োগ থাকবেন। সব মিলিয়ে মোট ১১ হাজার ৪১৫ রাজ্য পুলিশ আধিকারিক নিয়োগ থাকবেন প্রথম দফার নির্বাচনে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর