
দিঘায় নির্মিত নতুন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিডকো (হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন)-এর চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মন্দিরের নির্মাণব্যয় বহন করেছে হিডকো। হাকিমের অনুপস্থিতিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে: তাঁর মুসলিম ধর্মীয় পরিচয়ই কি এই বাদপ্রদানের কারণ? নাকি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিরই প্রতিফলন এটি?
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরটি রাজ্যের হাউজিং সংস্থা হিডকোর অর্থায়নে তৈরি হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম এই সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে—প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপেক্ষা করার যৌক্তিকতা কী?

হাকিমের মুসলিম পরিচয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠলেও, কেন তৃণমূল নেতৃত্ব এ বিষয়ে নীরব? বিরোধী দলগুলি ইঙ্গিত করছে, হিন্দু ভোটব্যাংককে সন্তুষ্ট রাখতে তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম নেতাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের একাংশের মতে, এটি দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফল—যেখানে ফিরহাদ হাকিমের প্রভাব কমাতে চেয়ে থাকতে পারে উচ্চ নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব-এর মতো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা হাকিমের অনুপস্থিতি নজিরবিহীন।

হিডকোর মতো সরকারি সংস্থার প্রকল্পে চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণ থেকে বাদ পড়া তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিরোধীরা এটিকে “ভোটব্যাংক রাজনীতির দ্বিচারিতা” বলে চিহ্নিত করছে।