তিন তালাকের মতো বোরখা থেকেও মুক্তি দেওয়া উচিত মুসলিম সমাজের নারীদের। বোরখা মুসলিম সমাজের নারীদের কাছে এক অভিশাপের মতো,মুসলিম সম্প্রদায়ের যাঁরা প্রগতিশীল মানুষ আছেন তাঁরা এই বোরখাকে কখনই মেনে নেবেন না। এমনটাই দাবী উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লার। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার, মুসলিম সমাজে প্রশ্ন উঠছে : উনি কি করে জানলেন বোরখা বোঝা, বা তা মুসলিম নারীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ? মুসলিম সমাজের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে উঠছে প্রশ্ন: বোরখা পরা বা না পরার সঙ্গে প্রগতিশীল হওয়ার কী সম্পর্ক? শর্টস্ হোক বা বোরখা কোনোটাই যেমন প্রগতিশীল হতে সাহায্য করেনা,তেমন কোনোটাই প্রগতিশীল হওয়ার পথে অন্তরায়ও হতে পারেনা। তাঁরা তুলে আনছেন একাধিক মুসলিম নারীর উদাহরণও। যেমন নাদিয়া হুসেন,যিনি “গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ”-এর মতো জনপ্রিয় কেক বেকিং শো তে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর হিজাব তো সেদিন জনপ্রিয় হওয়ার পথে বাধা হয়নি। কিংবা ইবতিয়াজ মুহাম্মদ, বিখ্যাত আমেরিকান ফেন্সার, তাঁর হিজাব তো তাঁকে অলিম্পিক খেলতেও বাধা দেয়নি। এছাড়াও আরও সফল হিজাব-বোরখাধারী সফল নারীদের নাম উঠে আসছে এই বিতর্কে।
পোশাক আক্রমণে যেন বারংবার জড়িয়ে পরছেন বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা। আনন্দ স্বরূপ শুক্লার বোরখা নিয়ে মন্তব্য, দিলীপ ঘোষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাড়ির বদলে বারমুডা পরতে বলে মন্তব্য করা যেন একের পর এক জটিলতার সৃষ্টি করছে।