ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে দুইজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) শীর্ষ পদের জন্য তাদেরকে বাছাই করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।নির্বাচিত ওই দু’জন হলেন – হুসেইন আল-শেখ ও রাওয়াহি ফাত্তুহ।অবশ্য যে বৈঠকে তাদেরকে নির্বাচন করা হয়, আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস ও অন্যান্য ইসলামী দলগুলো ওই বৈঠক বয়কট করেছেন। তাদের দাবি, আগে আব্বাসকে ক্ষমতা ভাগাভাগির নীতি সংশোধন করতে হবে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ৬১ বছর বয়সী হুসেইন আল-শেখ প্রেসিডেন্ট আব্বাসের আস্থাভাজন ব্যক্তি যিনি ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম। তাকে পিএলও’র কার্যনির্বাহী পরিষদে নিযুক্ত করা হয়েছে। সম্ভবত তাকে পরিষদের সাবেক সেক্রেটারি মৃত জেনারেল সায়েব ইরেকাতের স্থলাভিষিক্ত করা হবে।ওই বৈঠকে অন্য সদস্য হিসেবে ৭৩ বছর বয়সী রাওয়াহি ফাত্তুহকে পিএলওর কার্যনির্বাহী বডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনিও আব্বাসের ঘনিষ্ঠজন যাকে পিএলও জাতীয় পরিষদের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার প্রধান করা হতে পারে। বিগত চার বছরের মধ্যে এই প্রথম এ ধরনের বৈঠকে মিলিত হয়েছে পিএলও। নির্বাচিত ওই দু’জন উভয়েই পশ্চিমা-সমর্থিত আব্বাস ও তার ফাতাহ পার্টির মনোনীত। তারা ইসরাইলের সাথে সংঘাতের চলমান নীতিতে কোনো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এমনটি আশা করা হচ্ছে না।হামাস এবং ইসলামপন্থী জিহাদ আন্দোলনগুলো রোববার থেকে শুরু হওয়া কাউন্সিলের দুই দিনের অধিবেশনে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে ক্ষমতার অংশীদরিত্বের বিষয়ে আগে সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছে।হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম গাজায় বলেছেন, ‘এসব নিয়োগ বাতিল করতে হবে। এটা বেআইনি ও জাতীয় ঐকমত্যের বিরোধী। এটা (আব্বাসের) দলেরই পুনর্বহাল ছাড়া কিছুই নয়।’ প্রেসিডেন্ট আব্বাস পিএলও ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান, যারা ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমিত স্ব-শাসন অনুশীলন করে থাকে। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস গাজা উপত্যকা পরিচালনা করে থাকে।
সূত্র : নয়া দিগন্ত