গত কয়েক দিন ধরে বাসন্তীর রাধাবল্লবপুর গ্রাম হোগল নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ! দেখা মেলেনি সরকারী আধিকারীদের

এনবিটিভি ডেস্ক : গত কয়েক দিন ধরে বাসন্তী বাজারের কাছাকাছি রাধাবল্লবপুর গ্রামের অনেক পরিবারের ঘর-বাড়ি হোগল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শিশু,মহিলা সহ শতাধিক মানুষ বিপন্ন ।

পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতের নদী ভাঙন একটা বড়ো সমস্যা।এর কারনে প্রতি বছর হারাতে হয় হাজার-হাজার বিঘা জমি, ঘর- বাড়ী এমনকী জীবন ও। এই করোনা মহামারীতে লাগাতার লকডাউনে অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ। তার উপরে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ফলে জীবনে এক অশনি সংকেত দিচ্ছে, বাসন্তী এলাকার রাধা বল্লোবপুর গ্রামের মানষদের জীবনে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ কোনো জাত পাত দেখে আসেনা। হিন্দু মুসলমান কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। যেকোনো দুর্যোগে তারা পরস্পরের ঢাল হয়ে দাড়ায়। গ্রাম বাসীদের চোখে জল সামনে দূর্গা পুজো হারিয়েছে নিজেদের বাসভূমিটাও ।

ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন অসহায় মানুষ । 

শেষ আশ্রয় টুকু হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজে পাচ্ছেন না নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। হাতে টাকা ও খাবার না থাকায় দু’চোখে শুধুই অন্ধকার দেখছেন তারা।
নদীর কোনো প্রকার বাঁধ দেখা মেলেনা।নদী পাড়ের মানুষজনকে ঘর-বাড়ি হারাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। আজ আরোও জানা যায়, গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার এক বড়ো অংশ। দুটি গ্রামের মধ্যে সংযোগ কারি রাস্তা টুকুও জলের তলায় চলে গিয়েছে। এমনকী তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও নদী গর্ভে চলে গেছে়।
চোখে জল নিয়ে, শ্রাবন্তী মণ্ডল জানায় “ আমাদের পরিবারে চারজন সদস্য, এই নদীর জলে আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই বেচেঁ নাই । লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন আমার স্বামী।সামনে দূর্গা পুজো । আমাদের কোনো আশ্রয় নেই।সব মিলিয়ে আমাদের জীবন বিপন্ন”।

 

গ্রামের রাস্তা নদী গর্ভে  চলে গেছে । 

বাসন্তী এলাকার সরকারী আধিকারীদের পক্ষ থেকে কিছু খাবার ও ত্রিপোলির ব্যাবস্থা করলেও তা যথেষ্ঠ নয়। প্রতি বছর নদীগর্ভে সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যেতে হয় মানুষদের । তবুও সরকারের কোনও প্রকার হেলদোল নেই, পূর্ব থেকে কংক্রিট সহ অনন্যা আসবাব দিয়ে নদীর বাঁধকে মজবুত করে বাঁধার ব্যাবস্থার পরিকল্পনা থাকেনা । জীবনে বেচেঁ থাকার জন্যে শুধুমাত্র আছে গাছের পাদদেশ।

 

এলাকার প্রাক্তান প্রধান

এলাকার মানুষদের কাতর নিবেদন, সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, তিনি আমাদের জন্যে সাহায্য পাঠাবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাবস্থা করুক। যার দ্বারা আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে পারি।

Latest articles

Related articles