Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on email

রাজ্য সরকার স্কুল শিক্ষা বেসরকারি করনে মরীয়া, চলছে গোপনে ষড়যন্ত্র

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

গৌতম আদানির সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গৌতম আদানির সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এনবিটিভি ডেস্কঃ  স্কুল শিক্ষা থেকে এবার হাত গুটিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বোর্ড বাছাই থেকে শিক্ষক নিয়োগ সবই যাচ্ছে বেসরকারি হাতে। বিষয়টি এখনও শীর্ষ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় মুখ খুলছেনা সরকার পক্ষের কেউ। এমনকি খসড়া নীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্য সরকার। বাংলার শিক্ষা বিভাগ প্রথমবারের মতো স্কুল শিক্ষায় একটি পিপিপি অর্থাৎ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের শুরু হতে চলেছে।

এক সূত্রে জানা যায়, “স্কুল শিক্ষা বিভাগ পিপিপি মোডেলের স্কুল স্থাপনের বিষয়ে একটি খসড়া নীতি তৈরি করেছে।এর মতামতের জন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগে পাঠিয়েছে। প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে পুনরায় বিবেচনা করা যেতে পারে। এরপর অনুমোদনের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার সামনে রাখা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছিলেন। মোদী ঘনিষ্ঠ আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই খবর একেবারেই গোপন রাখা হয়েছিল।  গত ১০ ফেব্রুয়ারিতে আদানি পুত্র করন আদানি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাজপুরে সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে আদানি গ্রুপ বিস্তার লাভ করবে। আদানি গ্রুপের  হাতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া হবে তা চূড়ান্তর পথে।

স্কুল শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত খসড়া প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল।

সরকারের ভূমিকা:

  • রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট শর্তাবলীতে প্রয়োজনীয় জমি, ভবন বা পরিকাঠামো প্রদান করতে পারে।
  • প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য ব্যক্তিগত অংশীদারদের সহায়তা করবে।
  • পিপিপি মডেলটিকে কার্যকর করার জন্য রাজ্য স্কুল শিক্ষা বিভাগের অনুমতি নিয়ে বেসরকারী অংশীদারদের শ্রেণীকক্ষ এবং পরীক্ষাগার (কিছু রাজ্য পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের) ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারে।

 বেসরকারি’র ভূমিকা:

  • বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের ভবন এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে হবে।
  • উচ্চ মানের শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের নিয়োগ করন।

বোর্ড এবং ফি:

  • বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট সহ তাদের পছন্দের বোর্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা থাকবে। রাজ্য সরকার তাদের পছন্দের মতো বোর্ডের  সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার হাত প্রসারিত করবে।
  • ফি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে টিউশন এবং অ্যাকাডেমিক কার্যাবলীর সম্পূর্ণ চার্জ সহ অন্যান্য ফি।  
  • বেসরকারি অংশীদার কোম্পানির হাতে শিক্ষার মাধ্যম এবং শিক্ষার অনুমোদিত সংস্থা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে।

তথ্য সুত্রঃ দি টেলিগ্রাফ অনলাইন

আপনার মতামত প্রদান করুন!

সর্বাধিক পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর

সম্পর্কিত খবর