এনবিটিভি: এবারে ‘জয় শ্রীরামে’ও কোনও আপত্তি নেই তৃণমূলের। অন্তত টিম পিকে-র সদস্যেরা তেমনই প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতাদের দোরে দোরে। কোচবিহার শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন এই গুঞ্জন। দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না, এমন একজন বিজেপি নেতার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল টিম পিকে। তাঁকে সম্মানজনক পদের অফারও দেওয়া হয়। ওই নেতা আবার ‘জয় শ্রীরাম’ ছাড়া কিছু ভাবতেই চান না। তাঁর কথায়, “আমায় তো স্পষ্ট বলে দেওয়া হল, আপনি জয় শ্রীরাম হাজার বার বলুন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” কথা শুনে ওই নেতা তো ‘থ’! তিনি পাল্টা বলেন, “দিদি মানবেন তো?” টিম পিকে’র সাফ কথা, “না মানার কোনও কারণ নেই।”
দিনকয়েক আগেই তৃণমূলে যোগ দেন কোচবিহারের বিজেপির নেতা শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাহু। দলে হিন্দুবাদী নেতা হিসেবেই তিনি দীর্ঘপরিচিত। সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য তিনি। যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ছিলেন। তাঁর মাথায় লম্বা তিলক থাকে সবসময়। রামনবমীর মিছিলেও সামনের সারিতেই থাকেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পিকে টিম সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। ধর্মপালন নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। জয় শ্রীরাম বা তিলক কাটা নিয়ে কারও কোনও অসুবিধে নেই।”
শৈলেন্দ্র দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না, এমন অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিতে টানাপড়েন চলছিল। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “টিম পিকে বিজেপির অনেককেই নানা ভাবে অফার দিয়েছেন। তাঁর কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এক-দু’জন লোভ সামলাতে না পারে গিয়েছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ভাল মানুষদের তৃণমূলে স্বাগত। ধর্মপালন নিয়ে তৃণমূলে কখনও কোনও অসুবিধে ছিল না। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, হানাহানি— এসবের বিরুদ্ধে আমরা।” দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির দৌলতে রাজ্যে তৃণমূলের হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে কিছুটা ধস নেমেছে। তাই সেটা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই বেছে বেছে খোঁজ চলছে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের।
Related articles