রাজ্যের ‘শিক্ষারত্নে’ বঞ্চিত মাদ্রাসা শিক্ষক : ক্ষোভ প্রকাশ প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200907-WA0026

এনবিটিভি ডেস্ক: বিগত দু’বছর ধরে রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন পুরস্কার কোন মাদ্রাসা শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে না। এই বঞ্চনা নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে অনেক কিছুই ফাঁস করে দিলেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী থাকা কালে মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রশাসনিক স্তরেও যুগপোযোগী সংস্কার করে ছিলেন। মাদ্রাসা উন্নয়নে অভূতপূর্ব কাজ করার জন্যে দলেরই নেতৃত্বের কাছে অনেক গঞ্জনা শুনতে হয়। তিনি বর্তমানে সেই দল সিপিএম ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। সাম্প্রতি বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালে আব্দুস সাত্তার এর একটা দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে কোন প্রকার সংযোজন বিয়োজন না করেই এখানে তুলে দিলাম। যদিও আরো একটু সংযোজন হলে রাজ্য সরকারের মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘু নীতির আরো অনেক কিছু উম্মোচন হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন রাজ্যের ৩০ শতাংশ মুসলমান বিজেপির ভয়ে তাদের ভোট দিয়ে দেবে এটা ভুল করবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, গুজরাত, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এমন সব বিজেপি শাসিত রাজ্যে বসবাস করছে এবং করছে। সর্বোপরি বিজেপি শাসিত দেশে মুসলিমরা বাস করছে। এবার দেখুন আব্দুস সাত্তার এর ফাঁস করা তথ্যগুলো-

“এবছর ‘ শিক্ষারত্ন’-এর তালিকাতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে । রত্ন বঞ্চিত মাদ্রাসা । এই খবরে আরএসএস বিস্মিত । বিস্মিত বিজেপির নেতারা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন না এই খবর মেনে নিতে পারছে না বাংলার মুসলিম সমাজ । কিন্ত মুসলিম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার উপর আঘাত ২০১১ সাল থেকেই আসতে শুরু করেছে বলে মনে করেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী ড. আবদুস সাত্তার । তিনি মাদ্রাসার কোনো শিক্ষককে শিক্ষারত্ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অবাক হননি । তিনি বলেছেন , এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ ২০১১ সাল থেকেই পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছিল । তারই শেষ পেরেক পুঁতে দেওয়া হল এবছর শিক্ষারত্নে । তিনি বলেন , আমরা যখন ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যায় । সেই সময় ২০০টির মত নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা তৈরি করেছিলাম । ১০০ টি নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা অনুমোদন দিয়েছিলাম । আর বাকী ছিল ১০০টি মাদ্রাসার অনুমোদন । তাও সব কিছু পাশ করা হয়েছিল । মন্ত্রীসভার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল । শুধুমাত্র কার্যকর করার সময় ছিল না । সুতরাং বাকী ১০০টি নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা অনুমোদন দিতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । এমনকি বাজেটে অর্থ বরাদ্দও করা হয় দাবি করলেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী ড. আবদুস সাত্তার ।

কিন্ত দেখা গেল , সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই নিউ সেট-আপ মাদ্রাসার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিল না । আমরা ৯০০ টি এমএসকে- র অনুমোদন দিয়েছিলাম । কিন্ত ৪৯৫ টি চালু করতে পেরেছিলাম । ৪০৫ এমএসকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল । তাও এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেগুলিকে বাস্তবায়িত করল না । এগুলি বাস্তবায়ন হলেও কমপক্ষে নিউ-সেট-আপে ৯০০ এবং এমএসকেতে চার হাজার পদ সৃষ্টি হত । বড় ধরনের কর্মসংস্থান হত । আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ২৯৭টি পদ তৈরি করেছিলাম সেগুলি এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর