এনবিটিভি ডেস্কঃ উডুপির প্রাক-ইউনিভার্সিটি কলেজের হিজাব পরা মুসলিম ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে অস্বীকার করার খবরটি দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত কলেজের নাম দেশের খবরের শিরোনাম উঠে আসে। তড়িঘড়ি জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে কলেজের আধিকারিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসেন। এরপরেও মেয়েরা এখনও তাদের শ্রেণীকক্ষ থেকে দূরে রয়ে গেছে এবং তাদের ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
একাদিকে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে আজ পর্যন্ত একটি দিনের জন্যও মেয়েদের ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
হিজাব পরে শ্রেণীকক্ষে পা না দেওয়ার জন্য একজন ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে একজন শিক্ষিকা চিৎকার করে বলে ওঠেন, “যদি তুমি শ্রেণীকক্ষ থেকে না বের হয়ে যাও, আমি তোমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব।”
উল্লেখ্য, গত ১লা জানুয়ারিতে উদুপির সরকারি কলেজের হিজাব পরিহিত মুসলিম মেয়েদের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে বলে খবর ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়ে। হিজাব পরহিতা মেয়েদের অভিযোগ ছিল যে, অধ্যক্ষ রুদ্র গৌড়া তাদের ক্লাসরুমে হিজাব পরার অনুমতি দেননি।
তারা আরও অভিযোগ করে জানায় যে, শিক্ষার্থীদের বাবা-মা আলোচনার জন্য অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি। এমনকি উর্দু, আরবি ও বিয়ারি ভাষায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
উক্ত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আলিয়া এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “জেলাশাসকের সমাধানের পরেও আমাদের শিক্ষিকা আমাদের সিঁড়িতে বসতে বলেছিল। এটা অস্বস্তিকর এবং অপমানজনক বোধ করছিল,”
আলিয়া আরও জানায়, “আমরা তিন সপ্তাহের ক্লাস মিস করেছি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বছরে উপস্থিতির ঘাটতি থাকতে পারে।” ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিএফআই) রাজ্য কমিটির সদস্য মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, “কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কথায় অটল নয়। তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন বারংবার। একবার তারা বলেছিল যে, মেয়েদের কোনও মূল্যে শ্রেণীকক্ষের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, পরে তারা বলেছিল যে তাদের উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞাসা করতে হবে।”