
খয়রাশোল: রাজ্য সরকারের দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এবার অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশের আড়ালে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খয়রাশোল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দোকানদার ও পথচারীদের মধ্যে রামনবমীর ধ্বজা বিতরণ করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। উৎসব পালনে উৎসাহিত করতে সাধারণ মানুষকে ‘ধর্মীয় উদযাপন’-এর ডাক দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোলের তৃণমূল প্রধান ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ, অঞ্চল সভাপতি সপ্তম গোপ, এবং শিক্ষক নেতা প্রদীপ মণ্ডলসহ দলের একাধিক শীর্ষনেতা।

মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ালেও, তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘আরএসএস-স্টাইলে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’ ছড়ানোর কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। উল্লেখ্য, রামনবমীর মতো ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক ঐক্য গড়ার রীতি দীর্ঘদিন ধরে সংঘ পরিবারের সংগঠনগুলির প্রচার কৌশলের অংশ। এবার তৃণমূলের নেতৃত্ব সেই একই পথে হাঁটছে বলে সমালোচকদের অভিমত।

স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, “এখানে আগে কখনো তৃণমূল ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে এত সক্রিয় হয়নি। বিজেপি-র চাপে হয়তো তারা হিন্দু ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে গিয়ে আরএসএস-এর প্রোপাগান্ডা মডেল নকল করছে।”

রাজ্য জুড়ে বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় তৃণমূলের এই ‘নরম হিন্দুত্ব’ কৌশল নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে, বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলেছে: “ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে কি তৃণমূল এবার সংঘের এজেন্ডাকেই লালন করছে?”