এনবিটিভি ডেস্কঃ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ প্রতিরোধের প্রস্তাব। এমনকি প্রতিবছর ১৫ মার্চকে ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। ইসলাম বিদ্বেষ দুর করার জন্য মুসলিম দেশের সাথে চিনও এগিয়ে আসতে দেখা যায়। তবে এদিন ভারতের প্রতিনিধি টি এস ত্রিমূর্তি মেণে নিতে নারাজ, নানান ওজুহাত খাড়া করতে দেখা যায়, অবশেষে এই প্রস্তাবকে অস্বীকার জানায় ভারতের পক্ষ থেকে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের পক্ষ থেকে পাকিস্তান প্রস্তাবটি পেশ করেছিল। ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ দিন দিন বিশ্ব ব্যাপী বেড়েই চলছে সে কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলে। এই প্রস্তাবে গত কয়েক বছর পূর্বে নিউজিল্যান্ডের একজন বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ৫১ জনের নৃশংস হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এমনকি সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য, শত্রুতা এবং সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) কর্তৃক প্রস্তাবিত এই রেজুলেশনটি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং ইয়েমেন সহ অনেক দেশ সম্মতি দিয়েছে। আগামী ১৫ মার্চকে ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালন কোয়া হবে।
ভারতের জাতিসংঘের দূত টি এস ত্রিমূর্তি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “হিন্দুধর্মের ১.২ বিলিয়ন, বৌদ্ধ ধর্মের ৫৩৫ মিলিয়ন, শিখ ধর্মের 30 মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন দেশে তারাও ধর্মীয় কারণে আক্রান্ত হয়ে থাকে। শুধুমাত্র একজনকে আলাদা করার পরিবর্তে ধর্মীয় ফোবিয়ার বিরুদ্ধে লোড়তে হবে।
#IndiaAtUN
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) March 15, 2022
UN General Assembly on Adoption of Resolution on the International Day to Combat Islamophobia
📺Watch: India’s Explanation of Position by Permanent Representative @AmbTSTirumurti ⤵️@MEAIndia pic.twitter.com/DxZ9NP1NKe
ভারতের দূতের মুখে সারা বিশ্বের শান্তির কথা বললেও এদিকে ভারতে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা।
প্রসঙ্গত, ভারতে দিন দিন মুসলিম বিদ্বেষী কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। কখনও লাভ জিহাদের নামে এমনকি চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার মতো অহরহ ঘটে চলছে। হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণে দেশে মুসলিমদের দিন গুজরান কঠিন হয়ে পড়ছে। করোনা কালে মিডিয়ার মাধ্যমে ‘করোনা জিহাদের’ নামে বিশ্ব বাষ্প ছোড়ানো এক নজীর বিহীন মিথ্যা প্রচার ছিল। সিএএ ও এনআরসি’র দেশ থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর যে কঠিন চক্রান্ত তা সারা বিশ্বের নিকট নজীর হয়ে থাকবে। নানান ভাবে আক্রান্ত ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়।
হিন্দুদের অনুভূতির নামে বাবরী মসজিদের মত ঐতিহাসিক মসজিদকে ধ্বংস করে দেওয়া। এমনকি ভারতে সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার গুলি সুকৌশলে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি হিজাব বিতর্কের তার অন্যতম নজীর। ভারতে আরএসএস নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার আমরণ চেষ্টা করলেও সুশীল সমাজ তা মেনে নেবেনা।