নিউজ ডেস্ক : ইতিমধ্যেই আফগানিস্থানের ৮৫ শতাংশ এলাকার ওপর কব্জা করেছে তালিবান। গতকাল ঈদের দিনেই কাবুলে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির প্রসাদের পাশে অতি সুরক্ষিত জোনে মিসাইল হামলা চালিয়েছে তালিবান। তালিবানের হাতে কাবুলের পতনের শঙ্কার মাঝেই পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে আফগান সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে আমেরিকা। এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গঠিত হতে যাওয়া এই কোয়াড গ্রুপের অংশ হতে যাচ্ছে উজবেকিস্তান এবং আফগানিস্থান। আশ্চর্যজনকভাবে এই গ্রুপ থেকে বাদ পড়েছে আমেরিকার ঘনিষ্ট মিত্র ভারত। বিষয়টিতে মোদির কূটনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুভ্রমনিয়াম স্বামী।
মিলে একটি চতুর্দেশীয় (কোয়াড) কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। চতুর্ভুজ শক্তির মূল লক্ষ্যই হবে, আঞ্চলিকস্তরে নিবিড় সংযোগ স্থাপন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় ভারতকে বাদ দেওয়া হল কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ওবামা জমানা থেকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। মার্কিন হাতিয়ার কেনা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছে মোদি সরকার। আর এতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার বিরাগভাজনও হতে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। তার পরও বাইডেন প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভারতকে শরিক করেনি। শুক্রবার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “চতুর্দেশীয় শক্তি গড়তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সেখানে বাদ পড়েছে ভারত। এটাই কি তা হলে আমেরিকার সঙ্গে মোদি সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক?”
উল্লেখ্য, আফগানিস্থানে পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে ভারতের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। তালিবান বিরোধী অবস্থান বিজয় রাখা ভারত এখন তালিবানের ভয়ে সেদেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই প্রভাব বাড়ছে পাকিস্তানের। ফলে চিন্তায় ভারত। ভারত আফগানিস্থানে গত দুই দশকে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত। তাও হুমকির মুখে পড়েছে এখন। আর আমেরিকার এই কোয়াড থেকে বাদ পড়ার মাধ্যমে ভারত আফগানিস্থান সহ গোটা মধ্য এশিয়ায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে।