রাজ্যে ফেব্রুয়ারিতে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্প শুরু, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীঃ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এনবিটিভি ডেস্কঃ  পানশালা খোলা, পাঠ শালা বন্ধ। মেলা চলবে, কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে থাকবে তালা। আর কতটা ক্ষতি হলে শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলা হবে? কবে শুরু হবে সমস্ত শ্রেণির পঠন-পাঠন? মাঝে মাঝে আংশিক পঠন-পাঠন চালু করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার নামান্তর নয় কি? অফিস-কাছারি, যান চলাচল, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার কোনোটাই তো বন্ধ নয়, তবে স্কুলেই কেন তালা? শিশুদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গিয়ে কোথাও তাদের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে না তো? এমনও হাজারও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যে সরকারের। রাজ্যে রাজধানী কলকাতাতে লোকডাউন বিরোধী আন্দোলনও বেশ জোর কদমে চলছে। অবেশেষে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রীর গোলায় স্কুল খোলার নরম সুর শোনা যায়।

এদিকে রাজ্যে করোনার দাপট ধীরে ধীরে কমছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে যাওয়ার পর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসতেই তা ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষালয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল খোলো অভিযানও চলে। এবার করোনার প্রকোপ যখন কমছে তখন ধাপে ধাপে স্কুল খোলার চিন্তভাবনা করেছে রাজ্য সরকারের।

সূত্রে যানা যায়, সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা পুরো স্কুলই খুলতে চাইছি। তবে রাজ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। যথা সময়ে এনিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে ।

 প্রায় দু’বছর স্কুলে যেতে পারছে না রাজ্যের পড়ুয়ারা। বিশেষকরে নীচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। একথা মাথায় রেখে এবার পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে শিশুদের পড়ানোর একটি প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। শিশুদের সার্বিক উন্নয়নেই এই প্রকল্পের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে ওই প্রকল্প। সরকারের আশা, প্রায় ৬০ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রীকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে।

সোমবার ব্রাত্য বসু এনিয়ে বলেন, কোভিড বিধি মেনে পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় যেখানে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা কম সেখানে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা শিশুদের পড়াবেন। রাজ্যে মোট ৫০ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ হাজার ৫৯৯টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১.৮৪ লাখ প্রাথমিক শিক্ষক এই উদ্যোগে সামিল হবেন।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর