বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও গুজরাটে মুসলমান হত্যা নিয়ে হিংস্বাত্মক বক্তব্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতার

ওয়াসিম রিজবীকে এই দেশে জিতেন্দ্র প্রসাদ নারায়ণ হয়ে থাকতে হচ্ছে। আবদুল আর মেহমুদ শোন যদি তোমাদের এই দেশে থাকতে হয় তাহলে অমিত ও মদন হতে হবে। আফজাল কাসাব হওয়ার চেষ্টা করলে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এটা তো আর গান্ধীর দেশ নয় যারা তোমাকে একটা চড় দিলে আরেক গাল এগিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। এই দেশ বদলে গেছে। যদি কোন মুসলমান তোমাকে থাপ্পড় মারার চেষ্টা করে তার হাত কেটে অন্য হাতে দাও।”

৬ ডিসেম্বর দাদরা ও নগর হাভেলির সিলভাসায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দল আয়োজিত শৌর্য দিবসসে  বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতা বিক্রম সিং ভাট্টি এই কথা বলেন।

ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস উদযাপন করতে  ‘শৌর্য দিবস’ পালন করে থাকে। এই দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আছে ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলমান হত্যাকে গৌরবান্তিবত করা, বাবরি মসজিদে ধ্বংসকে বৈধতা প্রদান ও মুসলমানদের বয়কটের ডাক দেওয়া।

ভাট্টি তার বক্তব্যে বলেন, মুঘলরা তাদের শাসনামলে শত শত মন্দির অপবিত্র করেছে। কেউ কেউ বলে পেট্টলের দাম ১০০ রুপি বাড়ানো হয়েছে। এটা ২০০ হলে হোক। যদি তাতে ভারতের মুসলমানদের উত্থান বন্ধ হয় দাম বাড়লেও আমাদের আপত্তি নেই। মথুরায় এরপর মসজিদ ধ্বংস করা উচিত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হওয়া উচিত মথুরা।

বাবরি মসজিদ ভাঙার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন,  অযোধ্যা ছিল একটা ঝলক, কাশী মথুরা এখনও বাকি আছে।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় মুসলমান হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই জিহাদিরা সবরমতি এক্সপ্রেসে আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করেছিল কিন্তু গুজরাটের হিন্দুরা ৫০০ জনেরও বেশি মুসলমানকে হত্যা করে এর প্রতিদান দিয়েছে। তখন গণমাধ্যমে মুসলমানদের কাঁদতে দেখা গেছে।

ভাট্টি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, আমরা হাজার বছর ধরে মুসলমানদের দ্বারা শাসিত হয়েছি। এখন আমরা মুক্তি পেয়েছি এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের ফল। এই স্বাধীনতা ও শান্তি চরখা থেকে পাইনি, তবে এটি আমাদেরকে দান করেছেন সাধু-সদৃশ যোগী আদিনাথ।

Latest articles

Related articles