কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার সংসদে বাজেট পেশ করেন। প্রথাগত সাদা কাসাভু শাড়ি, যার পাড়ে সোনালি জরির কাজ এবং মধুবনী শিল্পের নকশা, পরিধান করে তিনি বাজেট কক্ষে প্রবেশ করেন। শাড়িটি বিহারের মধুবনী জেলার শিল্পী দুলারি দেবীর হাতে আঁকা, যা তিনি অর্থমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন।
বাজেটে উল্লেখযোগ্যভাবে, নতুন কর কাঠামোয় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার শূন্য, ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকায় ৫%, ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকায় ১০%, এবং ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকার আয়ে ১৫% কর ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া, কিসান ক্রেডিট কার্ডের ঋণের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
এই বাজেটে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য করের ছাড় দেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করের হার তুলনামূলকভাবে কমানো হয়নি। এতে ধনী ও গরিবের মধ্যে আয় বৈষম্য কমানোর প্রচেষ্টার অভাব স্পষ্ট। কৃষকদের জন্য ঋণের সীমা বৃদ্ধি করা হলেও, এটি ঋণ নির্ভরতার সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট নয়। কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ ও সহায়তা প্রয়োজন, যা এই বাজেটে অনুপস্থিত।
বিজেপি সরকারের এই বাজেটকে সমালোচকরা ধনীদের পক্ষে ঝোঁকানো এবং সাধারণ মানুষের প্রকৃত সমস্যাগুলো উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলেছেন। বামপন্থী নেতারা দাবি করছেন, এই বাজেট সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক সমতার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।