হিজাব খুলতে না চাওয়ায় উজমা ইউসুফ (২৪) নামে পাটনার এক নারী শিক্ষার্থীকে ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশনের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।
গতকাল বুধবার(৬ ডিসেম্বর) বিহারের পাটনার পরীক্ষা কেন্দ্রে সময়মত গেলেও তাকে শিক্ষক ও হল সুপারভাইজররা হিজাব খোলার জন্যে তাগাদা দেন।
সংবাদমাধ্যমেক উজমা ইউসুফ জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বেই আমি ইউজিসির ওয়েবসাইট ও এডমিট কার্ডে সব নির্দেশনা পড়ে এসছি। কেথাও লেখা ছিল না পরীক্ষার হলে হিজাব রাখা যাবে না। শুধুমাত্র বলা হয়েছিল যারা ধর্মীয় চিহ্নি সম্বলিত কিছু পরিধান করবে তারা যেন চেকিং প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্যে হলে আগে আসে।
ওই শিক্ষার্থী আরো জানান, তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে একটা মহিলা নিরাপত্তারক্ষী তাকে তল্লাশী করেন। তারপর এক্সাম হলে প্রবেশ করতে গেলেই ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিরিটির একজন পুরুষ অফিসার তাকে হিজাব খুলতে বলেন। সে তখন এরকম কোথাও নিয়ম লেখা নেই জানান। এমনকি পাসপোর্ট করতে গেলেও হিজাব খুলতে হয় না এই তথ্য জানিওয় সেই অফিসারকে তিনি বোঝাতে সক্ষম হননি।
উজমা্ ইউসুফ জানান, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে শিক্ষাজীবন বাঁধাগ্রস্থ হবে তিনি কখনো ভাবেননি। একাডেমিক ইয়ার লস হলেও তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসকেই বড় করে দেখছেন।
তিনি বলেন, আমি সিক্স স্ট্যান্ডার্ড থেকেই হিজাব ও নিকাব পড়ি। এখন পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে হিজাব খোলার আমার ইসলামিক মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের বিপরীতে যাচ্ছে। পরবর্তীতে পরীক্ষার হলের বাইরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করলেও হিজাবসহ তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
তাকে হিজাব খুলতে বলা অফিসারও একজন মুসলিম বলে জানান তিনি।
তিনি এখনই কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা না বললেও ছয় মাস পর এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে পুনরায় আবেদন করবেন বলে জানান। ধর্ম বিশ্বাস, মূল্যবোধের জন্যেই তাকে আক্রমণ করা হয়েছে বলে মনে করেনি তিনি।
উল্লেখ্য, জুনিয়র রিসার্চ ফেলো ও লেকচারার নিয়োগের জন্যে এনইটি নামে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্টি এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে।