আজ ফ্র্যাটারনীটি মুভমেন্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে এক ওয়েবিনারের ব্যবস্থা করা হয়। যার মূল বিষয়বস্তু ছিল ,”বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মহামারীর প্রভাব : প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও উত্তরণের পথ ” বক্তব্য রাখেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত গবেষক শাহনেওয়াজ আলী রায়হান। অধ্যক্ষ মহঃ আফসার আলী। বেঙ্গল মাদ্রাসাঃ এডুকেশন ফোরাম এর রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল। ফ্র্যাটারনীটি মুভমেন্টের রাজ্য সভাপতি আরাফাত আলী। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আবু জাফর মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ফ্র্যাটারনীটি মুভমেন্ট। উক্ত অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শাহনাজ আলী রায়হান বলেন যে, পাশ্চাত্যের দেশগুলো মহামারীর প্রভাবে যেভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে তা উল্লেখযোগ্য কিন্তু ভারত সরকার এই বিষয়ে তেমন সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না, তারা হয় স্কুল খুলতে হবে, না হয় বন্ধ থাকবে এরকম একটা অবস্থানে আছে। মাঝামাঝিতে স্কুল হু এর গাইডলাইন মেনে পঠন-পাঠনের কোনরকম সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। যা অতি অবশ্যই হওয়া উচিত। না হলে আগামী প্রজন্মের শিরদাঁড়া ভেঙে যাবে। ডঃ আফসার আলী বলেন যে, মিটিং মিছিল আচার-অনুষ্ঠান সবই হচ্ছে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কেন শাসক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের নিরক্ষর করে রাখলে জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করে পতাকা ধারানো লোক তৈরি সহজ হবে। তিনিও স্কুল-কলেজ এ যথারীতি কোভিড বিধি মেনে পড়াশোনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ইসরারুল হক বলেন সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুই ব্যাপারেই সদর্থক ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু বেসরকারি বিদ্যালয় অনলাইনে ব্যবস্থা করলেও সরকার তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করেনি।অন্যদিকে মানুষ স্বাস্থ্যপরিসেবা নিতেও ভয় পাচ্ছে। নার্সিংহোম গুলো করোনার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বিল করছে। সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। রাজ্য সভাপতি আরাফাত আলী বলেন যে এই সমস্যা নিরসনের জন্য কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে অবিলম্বে এই বিষটি নজরে আনার জন্য । পাশাপাশি তিনি সংবাদ মাধ্যমের নিকট অনুরোধ রাখেন যে তাঁরাও যদি শিক্ষার ব্যাপারে একটু পরিকল্পনা করেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাহলে জাতির জন্য একটা মঙ্গলকর অবস্থা তৈরী হতে পারে।