শুরু হবে কঠোর লকডাউন। ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাসমূহ।।

Nbtv নিউজ ডেস্কঃ

কোভিড – ১৯ (করোনায়) সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে মারাত্মক দূর্বিষহ অবস্থা। শহর গ্রাম সব খানেই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এর প্রভাব।

পূর্বের সব রেকর্ড হারিয়ে প্রত্যেকদিনই আক্রান্তের হার নতুন করে বেড়ে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে এর সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বেশকিছু এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রেড জোন” তালিকায় রয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড এবং এর বাইরে তিন জেলার বেশকিছু এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে জরুরী ভাবে বসা হয়েছেএই সকল এলাকার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপারদের সাথে ও। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করা হবে।

ঢাকার বাইরের তালিকায় থাকা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় একাধিক উপজেলাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।

গতকাল এ সকল এলাকাসমূহের নাম প্রকাশ করলো করোনা প্রতিরোধী সেন্ট্রাল কমিটি।।

এরমধ্যে,ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রয়েছে ১৭টি রেড জোন ঘোষিত এলাকা।

সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

দক্ষিণ সিটিতে রয়েছে ২৮টি রেড জোন এলাকা।

এর মধ্যে আছে: যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

চট্টগ্রাম সিটির রেড জোন চিহ্নিত ১০টি এলাকা হলো- চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

দুই সিটির বাইরে আরও তিন জেলা হলো:

ঢাকার বাইরের তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সব কটি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Latest articles

Related articles