ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলার সংখ্যা ২০২২ সালে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ এই ধারায় মামলার সংখ্যা ছিল ৮১৪টি। ২০২২ সালে এই মামলার সংখ্যা দাড়ায় ১০০৫ এ।
এই আইনটি আগে থেকেই বহুল সমালোচিত।
জম্মু ও কাশ্মীরে এই আইনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালে এই ধারায় মামলা ছিল ২৮৯টি। ২০২২ সালে সেটি বেড়ে দাড়ায় ৩৭১ এ। জম্মু ও কাশ্মীরের পরে এই ধারায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মণিপুরে। ২০২১ সালে মণিপুরে এই ধারায় মামলা হয়েছিল ১৫৭টি। ২০২২ সালে সেটি দাড়ায় ১৬৭টিতে।
এরপর পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেশি মামলা দায়ের করা হয়।
২০২১ সালে রাষ্ট্রদ্রোহ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৫১৬৪টি। ২০২২ সালে সেটি বেড়ে মামলার সংখ্যা হয় ৫৬১০টি।
সমালোচকরা মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে হুমকি বলে চিহ্নিত করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ীই, ইউএপিএ-তে সব থেকে বেশি মামলা হয়েছে মণিপুরে (১৬৭)। সেখানে বিজেপি-জোটের সরকার রয়েছে। তার পরেই রয়েছে বিজেপিশাসিত অসম (১৩৩)। এর পরে রয়েছে আর এক বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (১০১)। ঝাড়খণ্ডে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে ৭১টি। গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, মিজ়োরাম, রাজস্থান, সিকিম, তেলঙ্গানাতে অবশ্য ওই আইনে কোনও মামলা রুজু হয়নি।
সব চেয়ে বেশি রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে মামলাও হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে (২২০৭)। এর পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু (৬১৮), কেরল (২৯৭) এবং অসম (২৯৩)