আতিয়া সুলতানা তাইয়্যিবা
এনবিটিভি নিউজ ডেস্ক:
করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে এসে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের চিত্র। দিনদিন মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন ধর্মীয় বিষয়াবলীর প্রতি। আগ্রহও বাড়ছে ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার। অন্যান্য লোকসকলের পাশাপাশি সরকারও নিচ্ছে ধর্মীয় সংক্রান্ত নানান রকম পরিকল্পনা।
তেমনি ইতালির সরকার উদ্দ্যেগ নিয়েছে সে দেশের সব কারাগারে মসজিদ নির্মাণের।
পূর্বে থেকেই ইতালির সকল নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তাদের সংবিধানেও রয়েছে সব বন্দির জন্য সঠিকভাবে ধর্মপালনের অধিকার।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি ইতালি সরকার ও ইউনিয়ন অব ইসলামিক কমিটিজ অ্যান্ড অরগানাইজেশন ইন ইতালির (ইউসিওআইআই) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যার অধীনে ইমামরা কারাগারের মুসলিম বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষা দেওয়া ও নামাজের ইমামতি করার সুযোগ পাবেন।
ইতালি কারা প্রশাসনের প্রধান বিচারক বার্নার্ডো পেট্রেলিয়া ও ইউসিওআইআইয়ের সভাপতি ইয়াসিন লাফরাম উক্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে দেশটির মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রার্থনা কক্ষগুলোও খুলে দেওয়ার ব্যাপার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে ও ইউসিওআইআইয়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আবারও সেই চুক্তির আলোকেই নতুন সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
আরো জানা যায় যে,
ইতালির বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইতালির ৬০ হাজার বন্দির মধ্যে ১০ হাজারই রয়েছে প্রবাসী। তন্মোধ্য বেশিরভাগই মরোক্ক, তিউনিশিয়া ও রোমানিয়ার নাগরিক। ইতালির বন্দিদের মধ্যে সাত হাজার ২০০ জন ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তাদের জন্য ৯৭ জন ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ রয়েছেন। কারাবন্দির ৪৪ জনের দাবি তারা জেলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ইতালির মাত্র কয়েকটি জেলে মুসলমানদের ধর্ম পালনের জন্য মসজিদ রয়েছে।