৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_729840484514312

জাহিদ হাসান
স্টাফ রিপোর্টার নাটোর

এনবিটিভি নিউজ ডেস্ক:
নতুন বাজেটের আকার ৫৬৮০০০ কোটি টাকা।মোট আয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।জিডিপি আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম— অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। বাজেট অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে জতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেন।

বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে জরুরি এবং অপ্রত্যাশিত খরচ দেখা দিয়েছে তা মেটাতে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে। এ হার গত বাজেটে ছিল জিডিপির ৫ শতাংশ।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল দেশের অর্থনীতি। একের পর এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো। অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। চাকরি হারাতে পারে দেড় কোটি মানুষ। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সঞ্চয় প্রায় শেষ। প্রান্তিক মানুষ খাবারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের লক্ষ্য একটাই— টিকে থাকা। তাই এবারের বাজেটকে ঘিরে দেখা দিয়েছে বিপুল জন আকাঙ্ক্ষা আর প্রতীক্ষা।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বাজেট ডকুমেন্ট থেকে জানা গেছে, নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয় তথা আকার ধারা হচ্ছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশে ৬৬ দিন লকডাউন থাকার পর এখন সীমিত আকারে অফিস আদালত খুললেও করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলে দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও আগামী বাজেটের আকার বা ব্যয় ও আয়ের লক্ষ্যমাত্রার দিকে নজর দিলে করোনার কোনো প্রভাবই পাওয়া যাবে না।

তবে বাজেটে এ ধরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকে বাস্তবায়ন অযোগ্য বলছেন অর্থনীতিবিদরা। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের অন্যতম প্রধান সংস্থা এনবিআরও বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর