রিপোর্টার
মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা
মৃত্যুুপুুরী শুধু চীন বা যুক্তরাষ্ট্রই নয় ভবিষ্যতে মৃত্যুপুরীর মত পরিবেশ তৈরীর অাশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে চুয়াডাঙ্গাতেও।
মরণঘাতী করোনার মূল প্রতিষেধক যেহেতু এখনও সঠিকভাবে বের হয় নি, সেহেতু জীবন বাঁচাতে সচেতনতার সাথে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অার অাল্লাহর কৃপা ওষুধ ছাড়া যেন খোলা নেই কোনো পথ।
তারপরও সরকারী নিয়ম মেনে চলার নেই বেশিরভাগ জনগণের মধ্যেই।
এদিকে, জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিভাবকের ন্যায় গণহারে সচেতনতামুলক কার্যক্রম চালালেও সচেতনতার স্থির পর্যায়ে দাঁড় করাতে পারেনি সাধারণ জনগণ।
আর সেজন্যই দিন দিন বন্যার পানির মত বাড়তেই আছে করোনা আক্রান্ত রোগী।
দেখা যায়, সরকারী নিয়ম অমান্য করে বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সাবান, পানি, স্যানিটাইজার না রাখা, ক্রেতাদের ৩ ফুট দূরত্ব বজায় না রাখা, মুখে মাস্ক না পরে থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখাসহ করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ ছোট যান, অালমসাধু্, নসিমন, করিমন, অটো, সিএনজিতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো প্রকার নিয়ম না মেনে গা ঘেঁষে যাত্রী নিয়ে জেলার এ প্রান্ত থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জেলা উপজেলা চষে বেড়িয়ে যাত্রীদের মধ্যে অর্ধেকই মুখে মাস্ক না পরে তাদেরকে ওইসকল গাড়ীতে উঠতে দেখা যাচ্ছে অহরহ। এর ফলেও দিন দিন হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
যদি আক্রান্তের মূল কারণ খুঁঁজে বের করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য চুয়াডাঙ্গায় লাশ দাফনের জায়গা পাওয়া যাবে কী-না এ নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন গাঁথছে সারাক্ষণ।
এ থেকে মুক্তির পথ হিসেবে যার একটাই পথ সচেতনতার কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রয়োজনে এমন শাস্তি ব্যবহার করতে হবে যেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মানতে বাধ্য হয়।
জনগণের প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা বর্তমানে জরুরী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসন ও পুুলিশ প্রশাসন জনসাধারণকে ঘরে রেখেছে আর নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সরকারী নির্দেশনার সচেতনতা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে পালন করেছে ঠিকই কিন্তু জনগণ তা বুঝে না বোঝার মানসিকতা নিয়েই চলছে ৯০ ভাগ মানুষ।
সেজন্য চুয়াডাঙ্গাকে মৃত্যুপুরীর হাত থেকে বাঁচাতে স্থানীয়ভাবে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস অাদালত স্বাস্থ্যবিধির অালোকে চলছে কী-না সে বিষয়ে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশী টিম গঠন করতে হবে। সেইসাথে সরকারী নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এমন শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে যেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হয়।
এছাড়াও মরণঘাতী করোনার হাত থেকে বাঁচতে বিশেষ করে দূরপাল্লার ঢাকাগামী বাস এবং চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ফেরীঘাট রোডস্থ বড় বড় মুদী ব্যবসায়ীদের মালামালের সাথে ট্রাকে করে প্রতিদিনই ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গায় করোনা ছড়াচ্ছে আবার চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছে করোনা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই চুয়াডাঙ্গা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য সচেতন মহলে।
চুয়াডাঙ্গাবাসীকে মৃত্যুপুরীর হাত থেকে বাঁঁচাতে জেলা প্রশাসনের উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে পথ পরিচালিত করবেন এমনটি অাশা নিয়ে স্তব্ধ হয়ে অাছে চুয়াডাঙ্গাবাসী।