প্রতিবন্ধী মেনা খাতুন মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। নিজে প্রতিবন্ধী, বিধবা মা, এক বিধবা বোন ও এক স্বামী ছাড়া ষাটোর্ধ বোন’কে নিয়েই অভাবী সংসার। প্রতিবন্ধী ঠেলা ভ্যানে করে বোনকে সাথে নিয়ে পড়ায় পড়ায় ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলে সংসার সাথে রয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে রেশন।
ছোট বেলা থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রায় ৩০বছর হল বোনের বিধবা হওয়া, আর এক বোন ষাটোর্ধ। বহুবার প্রতিবন্ধী ঠেলা ভ্যানে করে স্থানীয় মেম্বার প্রধান’দের কাছে ছুটে গেছেন প্রতিবন্ধী শংসাপত্র কিভাবে পাওয়া যাবে তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য, যাতে সরকারি ভাতা পেতে পারেন। প্রায় ৩০বছর ধরে বিধবা বোনকে সাথে নিয়ে বহুবার আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনিক মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় মেম্বার প্রধান দের কাছে বোনের বিধবা ভাতা ও ষাটোর্ধ বোনের বার্ধক্য ভাতার জন্য। কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেনি সকলে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তবু কাজ করে দেয়নি। ভোট আসে ভোট যায় প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু পাইনি। স্বচক্ষে দেখেছেন সরকার পরিবর্তন হতে, দেখেছেন বহু মেম্বার প্রধান’কে প্রাক্তন হতে। শারিরীক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ভাঙ্গা চোড়া প্রতিবন্ধী ঠেলা ভ্যানে করে জীবন সংগ্রামের পথে চাকা ঘুরিয়েই চলছেন এই আশায় একদিন না একদিন ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। কিন্তু ভাগ্যের চাকা আর ঘুরে না।
হতাশায় যখন পুরো পরিবার তখন সব রকম সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির শিশু ও নারী উন্নয়ন ও এান কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুন। প্রশাসনিক স্তরে খোঁজ নিয়ে মেনা খাতুন সহ এলাকার অন্যান্য প্রতিবন্ধীদেরও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র ব্যবস্থা করেন যার দরুন এতদিন পর আজ নিজে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সহ সরকারি ভাতা ও বোন বিধবা ভাতা পেয়ে পরিবারের কিছুটা হলেও ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। তাই ভিক্ষবৃত্তির ফাঁকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে কাছে পেয়ে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সহ সরকারি ভাতা পেয়ে আপ্লুত মেনা খাতুন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রতি এবং দোয়া করলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নুরজাহান খাতুন ও তার পরিবারের জন্য। সাথে সাথে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দ্রুত প্রতিবন্ধী ঠেলা ভ্যান ও একটি সরকারি সাহায্যে বাড়ি পাওয়ার জন্য। যাতে ভবিষ্যতে নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারেন।