মালদহের চাঁচল থানার এক অফিসারের বিরুদ্ধে আশি হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, অভিযোগ করলেন শাসক দলেরই নেতা

মালদা;08জুন: এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মালদহের চাঁচল থানার এক অফিসারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শাসকদলের এক নেতা। এমনকি যে অফিসারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তার প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে সাংবাদিককেও ছাপার অযোগ্য ভাষায় ওই অফিসার গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য তিনি কিছু বলবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এদিকে শাসকদলের এক নেতাকে হুমকি দিয়ে পুলিশ অফিসারের টাকা চাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই জেলাজুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। করোনার আবহে ঝুঁকি নিয়ে পুলিশকর্মীরা কাজ করছেন। কিন্তু চাঁচল থানার অনিমেশ কর্মকার নামে ওই অফিসার যেভাবে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে ঘুষ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদেরও একাংশ। টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেয়েই ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে কড় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সাংবাদিককে গালাগালি দেওয়া প্রসঙ্গে এসডিপিও বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। গোটা ঘটনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাস আগে চাঁচলের আশিনপুরে মরা সাপের গন্ধ ছড়ানো নিয়ে কয়েকজনের বচসা হয়। পরে দুপক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। দু তরফেই পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ মামলাও করে। এরপর তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অনিমেশ কর্মকারকে ফোন করে অভিযুক্তদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা জানতে চান স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি মেরাজুল ইসলাম। মেরাজুল এদিন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আইও অনিমেশবাবুকে ফোন করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা নিয়ে জানতে চাই। তখন জানতে পারি, আমাদের আট তৃণমূল কর্মীর নামেও পাল্টা মামলা রয়েছে। উনি পরিস্কার বলেন, টাকা না দিলে কাজ হবে না। বিপক্ষের কাউকে গ্রেফতারও করা হবে না। বরং টাকা না দিলে তৃণমূলের আটজনকেই গ্রেফতার করা হবে। এরপর বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে অনিমেশবাবুর হাতে ৮০ হাজার টাকা দিই। তার সাক্ষীও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তিনি কাউকে গ্রেফতার করেননি।
চাঁচলের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে পুলিশকর্মীরা করোনার মধ্যে কাজ করছে। কিন্তু ওই অফিসার আখেরে রাজ্য সরকারের বদনাম করছেন। আমরা চাই, তদন্ত করে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।

Latest articles

Related articles