লাদাখ থেকে ভারতের শিক্ষা, আন্দামানেও অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে ভারত

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_692201064658723

এনবিটিভি ডেস্ক: চিনের বিস্তারবাদ বা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে একদিন আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লাদাখে ভরতীয় সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে রীতিমতো ওয়ার জোনে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী, আধিপত্যবাদীরা সবসময়ই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অগ্রগতিই বিশ্বের ভবিষ্যৎ। আধিপত্যবাদ বা বিস্তারবাদ মানবিকতার ক্ষতি করেছে’।

এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। লাদাখে পাঠানো হয় এক ডিভিশন অতিরিক্ত সেনা। এবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের নিরাপত্তা বাড়াতে নজর দেওয়া হল আন্দামানের দিকেও। সেখানে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত সেনা। চিনের মোকাবিলায় ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক। তাই দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর আন্দামানের এক দ্বীপে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে বাড়তি সেনা।

এটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০১ সালে। যা ভারতের একমাত্র থিয়েটার কমান্ড। এর অর্থ হল, এখানে স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য একটাই অপারেশনাল কমান্ড। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই কমান্ড অবহেলার শিকার ছিল। কারণ যথেষ্ট পরিমাণে ফান্ড এই কম্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট করা হত না বলেও অভিযোগ। কিন্তু গালওয়ান সংঘর্ষের পরই আন্দামানে এই গুরুত্বপূর্ণ সেনা কমান্ডের দিকে নজর দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

সূত্রের খবর, আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের অধীনে উত্তর আন্দামানে শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশনের রানওয়ের দৈর্ঘ বাড়ানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি ক্যাম্পবেল আইল্যান্ডে আইএনএস বাজের রানওয়ে বাড়ানোর কাজও শুরু হবে। যাতে সেখানে প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান নামানো যায়। রোল-অন প্ল্যানের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের জন্য ওই অঞ্চলের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এমনকি আন্দামানে আগামী দিনে পাকাপাকিভাবে যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি তৈরি করার চিন্তাভাবনাও শুরু করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভবিষ্যতে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা যাতে প্রতিহত করা যায়, সেজন্য আন্দামান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর