এনভিটিভি, ওয়েব ডেস্ক: ফের মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন। বহুদিন জল্পনার পর আজ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি থেকে বেরিয়ে গেরুয়া শিবিরে অজিত পওয়ার। অজিত পাওয়ারের দল বদলের জল্পনা ছিলই। সেই জল্পনা বাড়ে এনসিপির দায়িত্বে শরদ পাওয়ার তাঁর মেয়ের হাতে দেওয়ায়। রবিবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে এনসিপি ছাড়েন অজিত। শুধু তাই নয়, তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের অর্থাৎ শিন্ডে সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হলেন তিনি। অজিতের এই দল বদলের কথা না কি জানতেন না খোদ শরদ পাওয়ারও। সূত্র বলছে, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন অজিতের সমর্থনে। রবিবার মহারাষ্ট্রের এই মহানাটক মনে পড়িয়ে দিল এক বছর আগের মহারাষ্ট্রের রাজনীতির পালাবদলকে। গতবছর জুন মাসে আচমকা বদল আসে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। শিবসেনার থাকাকালীন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন একনাথ শিন্ডে। শিবসেনার একগুচ্ছ বিধায়ক নিয়ে তিনি যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের গদিতে বসেন একনাথ। শিবসেনা থেকে শিন্ডে আলাদা হওয়ার ঠিক এক বছরের মাথায় ফের সে রাজ্যের বড় দলে ভাঙন। এনসিপি ভেঙে বেরিয়ে এলেন অজিত পাওয়ার। যদিও এই জল্পনা চলাকালীন শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, পাওয়ারকে দলে নিলে মহারাষ্ট্র সরকার থেকে বেরিয়ে আসবে তাঁরা। শিন্ডে শিবিরের সাফ বার্তা ছিল, এনসিপি বিশ্বাসঘাতক দল। ক্ষমতায় থাকলেও তাদের সঙ্গে হাত মেলাবে না বলেও বার্তা দিয়েছিল শিন্ডে শিবির। তাঁদের দাবি ছিল কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে হাত মেলানো সাধারণ মানুষ পছন্দ করেনি বলেই একগুচ্ছ নেতা শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। তবে সেসবের মাঝেই আজ ফের দল ভাঙল মহারাষ্ট্রে। ২৪এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন দেশের বিরোধী দলগুলি প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই শরদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে বিজেপি এবং শিন্ডে সেনার জোট সরকার যুক্ত হলেন অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ বসলেন তিনি। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় রইলেন বিজেপির ৯ জন মন্ত্রী, শিন্ডে সেনার ৯ জন মন্ত্রী, এবং এনসিপির ৯ জন মন্ত্রী।
