
জম্মু ও কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণে ১০ জন গ্রামবাসী প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৪৫ জন আহত হয়েছেন। একই সংঙ্গে , পাম্পোরে একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গোলাবর্ষণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি:
রাজৌরি: নিয়ন্ত্রণ রেখার (LoC) কাছে ইরওয়ান খানেতার গ্রামে পাকিস্তানের আর্টিলারি হামলায় ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত।
পুঞ্চ জেলা: LoC-সংলগ্ন এলাকায় গোলাবর্ষণে ১০ বেসামরিক নাগরিক (সহ একজন বন কর্মী) নিহত।
কুপওয়ারা ও কর্নাহ: মঙ্গলবার রাতে গোলাবর্ষণে আবাসিক এলাকায় আগুন, পুড়ে যায় কয়েকটি ঘর। স্থানীয়দের ভিডিওতে ধরা পড়ে দগ্ধ গবাদিপশু ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর।
পাম্পোরে যুদ্ধবিমান:
ঘটনাস্থল: শ্রীনগর থেকে ২০ কিমি দূরে পাম্পোরের ওয়ুয়ান এলাকা।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আকাশে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। হঠাৎ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা, আলোকিত হয় আকাশ। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে। স্কুল ও মসজিদ চত্বরে কিছু ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তা তৎপরতা: ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে সেনা। বিমানের উৎপত্তি বা নিহতের সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সতর্কতা:
স্কুল-কলেজ বন্ধ: বারামুল্লা, কুপওয়ারা, বান্দিপোরা, রাজৌরি, পুঞ্চ, কাঠুয়া, সাম্বা ও জম্মুতে বুধবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।
সামরিক প্রস্তুতি: ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর সেনা ও বিএসএফ সর্বোচ্চ সতর্ক। গত ৬-৭ মে মধ্যরাতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে ভারত।
২২ এপ্রিল পহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর এ অভিযান। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘হামলার মূল হোতাদের বিচার করবই।’’ অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সংযম ও কূটনৈতিক সমাধান-এর আহ্বান জানিয়েছে।