নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের পালা মিটে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন আসন নন্দীগ্রাম এখনও আলোচনার কেন্দ্রেই আছে। বিতর্কিত ভাবে শেষ মুহূর্তে শুভেন্দুকে বিজয়ী ঘোষণা করে কমিশন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা প্রবাহে দেখা গেছে সেখানকার মানুষ আর গেরুয়া শিবিরের সাথে নেই। বহু বিজেপি নেতা কর্মী গোপনে বা প্রকাশ্যে ছাড়ছেন দল। এবার ৩৫০ এর বেশি বিজেপি নেতা কর্মী গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল ক্যাম্পে। বিজেপির দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেকায়দায় ফেলতে তৃণমূল নেতৃত্ব এটা ব্যবহার করবে। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব।
রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল কার্যালয়ে হরিপুর অঞ্চলের প্রায় ৩৬০ জন বিজেপি কর্মী শাসক শিবিরে যোগ দেন। যোগদানকারীদের তালিকায় ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী অনিন্দিতা জানা, তমলুক জেলা এক্স আর্মি সেলের জেলা কমিটির সদস্য শুভাশিস জানা, বাম শিবিরের বাদল দুয়ারি ও প্রদীপ জানা-সহ একাধিক কর্মী সমর্থকেরা। যোগদান পর্বের অনুষ্ঠানে, নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লক সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন দাস বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই একেবারে জমায়েত করে যোগদান করানো হয়নি। ধীরে ধীরে কয়েকটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যোগদান করানো হয়েছে তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের শরিক হতেই ওঁদের তৃণমূলে যোগ।” অবশ্য বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এর পিছনে অন্য কারণ আছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে মান বাঁচাতে বিজেপির কর্মীদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।