
ভারতীয় হেট ল্যাব (আইএইচএল)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাহেলগাঁও-এর জঙ্গিহামলার পর গত ২২ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত মাত্র ১১ দিনে নয়টি রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ৬৪টি বিদ্বেষমূলক ভাষণ রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ১৭টি, উত্তরপ্রদেশে ১৩টি এবং উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানায় ৬টি করে ঘটনা ঘটেছে।
পাহালগাম সেনা হামলার পর পরিকল্পিতভাবে এই বিদ্বেষ ছড়ানো শুরু করে বিজেপি-সমর্থিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), বজরং দল, হিন্দু রাষ্ট্র সেনা-সহ অন্তত ৮টি ডানপন্থী সংগঠন। তাদের লক্ষ্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়া, অর্থনৈতিক বর্জন ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করা। প্রতিবেদনে উল্লেখ, সমাবেশগুলিতে মুসলিমদের “সবুজ সাপ”, “কীটপতঙ্গ”, “পাগল কুকুর” বলে উল্লেখ করে তাদের বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়।

উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুরজার-সহ নেতারা মুসলিমদের এলাকা থেকে তাড়ানোর হুমকি দেন। এ সময় হিন্দুদের অস্ত্র ধরারও ডাক দেওয়া হয়। সমান্তরালে হরিয়ানায় মুসলিম ফেরিওয়ালাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, উত্তরাখণ্ডে বিজেপি নেতার হুমকি এবং উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম যুবকের কুঠার হামলার মতো ঘটনায় হত্যার প্রতিশোধস্পৃহা প্রকাশ পায়।
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এক্স (টুইটার)-এ লাইভস্ট্রিম বা ভাইরাল হওয়া এই সব ঘৃনা ছড়ানোর ভিডিয়ো লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। আইএইচএল সতর্ক করেছে, অনলাইন ঘৃণা ভবিষ্যতে আমাদের সমাজে অশুভ ফল ডেকে আনতে পারে।