গান শোনায় উত্তর কোরিয়ায় ৭ জনের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা

 

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। একনায়কতন্ত্র এবং কঠোর শাসক হিসেবে পরিচিত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উঠেছে একাধিক অভিযোগ। ১১ দিনের জন্য উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেই দেশের শাসক। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও জাতীয় সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক তথা কিমের বাবা কিম জং ইল-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রেডিয়ো ফ্রি এশিয়া সূত্রে খবর, টানা ১১ দিন হাসা যাবে না। এমনকি মদ্যপানও করা যাবে না। ছুটি কাটানো, উৎসবে মেতে ওঠা যাবে না। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই নিয়ম লঙ্ঘনে কড়া শাস্তি পেতে হবে নাগরিকদের।

 

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গান ও ভিডিও দেখার অপরাধে উত্তর কোরিয়ায় কমপক্ষে ৭ জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই সাত জনের বিরুদ্ধে ‘কে পপ’ (দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান)-সহ বিভিন্ন ভিডিও দেখা ও অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়।

 

নতুন ওই রিপোর্টে সিউল-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান ‘কে পপ’-এর ভিডিও দেখা এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ‘অপরাধে’ ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কমপক্ষে সাত জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এর মধ্যে কেবল হেসান প্রদেশেই ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে।

 

পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের শাসনামলে তাঁর চাচা জং সং থাইকসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর কোরিয়া।

Latest articles

Related articles