এনবিটিভি: যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম পুলিশ কনস্টেবল দাড়ি রাখায় চাকরি থেকে সাসপেন্ড হলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায়। জানা গেছে, ইন্তেজার আলি নামে এক মুসলিম বাগপত জেলার রামালা থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। গত ২৫ বছর ধরে দাড়ি রেখে পুলিশের দায়িত্ব পালন করে এলেও কোনও আপত্তি ওঠেনি। কিন্তু এখন তিনি সাসপেন্ড হলেন দাড়ি রাকার দায়ে। সাসপেন্ড হওয়া এই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দের কাছে একটি গ্রামে।
বাগপতের পুলিশ সুপার অভিষেক সিং জানিয়েছেন, পুলিশের ইউনিফর্ম আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দাড়ি রাখতে বারণ করে তাকে বারবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কারণ, পুলিশের চাকরিতে একমাত্র শিখ ধর্মাবলম্বীরাই দাড়ি রাখতে পারে বলে উত্তরপ্রদেশের পুলিশে আইন আছে। সেই আইন নান মানার দায়ে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাগপতের পুলিশ আরও জানিয়েছে, এর আগেও তাতে দাড়ি কাটার কথা বলা হয়। কিন্তু তা না করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে চলেন তিনি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তিনি দাড়ি রাখেন।
যদিও ইন্তেজার আলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তিনি দাড়ি রাখার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশে গত ২৫ বছর ধরে দাড়ি রেখে দায়িত্ব পালন করলেও কেউ কোনও দিন আপত্তি করেননি। কিন্তু এখন আপত্তি উঠেছে।
তিনি স্বীকার করেন, তার সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা গত বছর থেকে দাড়ি কাঠার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছি। বছরে পর বছর ধরে লম্বা দাড়ি রেখেছি। গত বছর এই সময় পুলিশ সুপার প্রতাপ গোপেন্দ্র যাদব ছুটিতে যেতে বলেন। বহু জায়গায় পোস্টিং হলেও দাড়িও ব্যাপারে কোনও আপত্তি ওঠেনি। দাড়ি রাখার অনুমতি চাইলেও তা মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, আমি পুলিশের দায়িত্ব পালন করার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি। আমি আমার ধর্ম যথাযথ পালন করি। সেখানে আরও দুজন মুসলিম পুলিশে কাজ করেন। যদিও তারা দাড়ি রাখেন না। দাড়ি রাখাটা আমার নিজের পছন্দ। আমি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে ইসলামের পথ অনুসরণ করেছি।