নিউজ ডেস্ক : তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন মন্ত্রিত্ব পদ থেকে, দলের সাংগঠনিক পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন কিছুদিন আগে।যদিও এখনও তিনি অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করবেন কিনা তা পরিষ্কার করেননি তবে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ঘটনা ক্রমে এটি সুস্পষ্ট যে শুভেন্দু অধিকারীর অধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের আজ এক অতীত।
কিন্তু ভীষণ জনপ্রিয় এই তৃণমূল নেতা তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।এরই মাঝে মন্দির বাজারে শুভেন্দু অধিকারীর নামে বিভিন্ন পোস্টার, কোন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দ্বারা লাগিয়ে দেয়া হয় হয়েছে বিভিন্ন দোকানে এবং বাড়ির দেওয়ালে।
আবার গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এমনই এক ঘটনা পরিলক্ষিত হল। রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে দুয়ারে’ কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র যেখানে নেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো পতাকা নেই মমতা ব্যানার্জির কোন ছবি। বরং গেরুয়া রং করা দেওয়ালে লেখা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ব্যবসায়ী সহায়তা কেন্দ্র।গতকালের আগের দিন পর্যন্ত যা তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবসায়ী সহায়তা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল আজ তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব বেশ স্পষ্ট।দেওয়ালের গেরুয়া রং কি তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের ইঙ্গিত প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
শুভেন্দু অধিকারী এখন অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করবেন কিনা সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা না দিলেও বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনা প্রবাহ তার বিজেপিতে যোগদানের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন অনেকে।আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে এই সমস্ত ঘটনার পিছনে অ-তৃণমূলী এক শক্তির হাত রয়েছে এবং সেটি হতে পারে বিজেপি। কারণ রাজ্যে বিজেপি আসন্ন নির্বাচনে ভালো ফল করার জন্য শুভেন্দু ফাক্টরকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারলে লাভ আখেরে তাদেরই হবে।সে দিক থেকে এই সমস্ত ঘটনার পিছনে বিজেপির কর্মীদের হাত থাকতে পারে বলেও একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের তরফ থেকে একাধিকবার মন্তব্য করা হয়েছে যে শুভেন্দু অধিকারীর জন্য তাদের দলের দরজা সর্বদা খোলা রয়েছে।
তবে শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের কতটা ক্ষতি হবে বা বিজেপির আখেরে কতটা লাভ হবে বা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে কতজন সাংসদ ও বিধায়ক কে নিজের সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করাতে পারবেন অথবা তৃণমূলের কত শতাংশ ভোটার যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিকে সমর্থন করবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে এখন জোর বিতর্ক চলছে তবে এটা সত্য কথা যে শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করে সেটা আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের জন্য এক বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস এই শুভেন্দু ফ্যাক্টরকে যদি সঠিকভাবে মেক আপ করে নিতে না পারে তাহলে দলের ফলাফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত অনেকের।