কোন ড্রাইভার ছাড়াই যুদ্ধ করবে হেলিকপ্টার! নয়া উদ্ভাবন তুরস্কের

সাইফুল্লা লস্কর : মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র বিমান, মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র নৌযানের পর তুরস্ক তৈরি করল মনুষ্যবিহীন হেলিকপ্টার। এর আগে চীন এমন হেলিকপ্টার উদ্ভাবন করেছে ২ মাস আগে। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে তুরস্কের এই নয়া হেলিকপ্টার চীনের হেলিকপ্টারের থেকে অনেক এগিয়ে। তুরস্কের এই নয়া হেলিকপ্টার উড়তে পারবে কোন ড্রাইভার ছাড়াই এবং এর উড্ডয়নের জন্য লাগবে না কোনো রানওয়ে। যেখানে সেখানে ইচ্ছামত নামতেও পারবে হেলিকপ্টারটি।

তুরস্কের একটি প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তিতরা টেকনোলজি উদ্ভাবন করেছে এই হেলিকপ্টারটি। সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, বাজারে এই ধরনের ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা আছে, সে কথা মাথায় রেখেই আমরা এটি তৈরি করেছি। এটিকে সামরিক কাজে এবং ব্যবসায়ী কাজে দুই ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন,এই হেলিকপ্টারটি ১৬০ কেজি ওজন নিয়ে আকাশে উড়তে পারবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে আকাশে টানা ৮ ঘণ্টা থাকতে পারবে এটি। এটিকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোন কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

২ মাস আগে চীনে পরীক্ষা করা হয় এমনই এক হেলিকপ্টারের। তবে সেই হেলিকপ্টারটি মাত্র ৮০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। যে যা তুরস্কের হেলিকপ্টারের ওজন বহন ক্ষমতার অর্ধেক। তুরস্ক ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক সমরাস্ত্র বাজারে নিজেদের অবস্থান অগ্রগণ্য দেশের সারিতে নিয়ে এসেছে। আবার রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর চাপিয়েছে অনেক নিষেধাজ্ঞা। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন এই নিষেধাজ্ঞা তুরস্ককে আরো স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তুরস্কের মিলিগ্রাম ক্লাস করভেট, টি-১২৯ জঙ্গী হেলিকপ্টার এবং তুরস্কের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের বিমান বিএফ এক্স এর জন্য ইঞ্জিন আর আমেরিকা বা অন্যকোন পশ্চিমা দেশ থেকে আমদানি করতে পারবে না তারা। তবে ইতিমধ্যেই তুরস্ক সেই নিষেধাজ্ঞার কথা ভেবেই নিজেদের দেশীয় প্রযুক্তিতে এক হেলিকপ্টার এর জন্য তৈরি ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে যেভাবে তুরস্ক সমরাস্ত্র প্রযুক্তিতে দিনদিন অগ্রসর হচ্ছে সেদিন বেশি দূরে নয় যখন আমেরিকা চীন রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের নাম উচ্চারিত হবে এক্ষেত্রে।

Latest articles

Related articles