নিউজ ডেস্ক : ভারতের শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক মহড়া। এই মহড়া গুলি চালানো হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, পাঞ্জাব এবং গুজরাট রাজ্যে। মূলত অক্সফোর্ডের অ্যাসট্রাজেনেকা ভারতবর্ষে সেরাম ইনস্টিটিউট এর দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে সেটারই পরীক্ষা চালানো হবে। এছাড়াও পরীক্ষা চালানো হবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোন কোভাক্সিন এবং আমেরিকার ফাইজার কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনের ও।
এই ভ্যাকসিন গুলোর সফল পরীক্ষা চালানোর পর জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হবে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক কর্তৃক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমোদন পেলে আগামী বছরের গোড়ার দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই জরুরিকালীন ভাবে ব্যবহার করা শুরু হতে পারে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে রাশিয়া, চীন, আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ করোনা ভ্যাকসিনের জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ভারতবর্ষে অনুমতি পেলে প্রথমে ডাক্তার নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং প্রবীণ নাগরিকদের এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারি কর্মচারীদেরকে তারপরে ধীরে ধীরে সাধারন মানুষকে এই টিকাকরণ এর আওতায় আনা হবে।
ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন হিমাঙ্কের ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে অতি শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা আবশ্যক। তাই এই ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। এছাড়াও ফাইজার ভ্যাকসিনের মূল্য অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনের ভ্যাকসিনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনের ভ্যাকসিন এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় দশা অতিক্রম করতে পারেনি। তাই এই ভ্যাকসিন কে আপাতত মঞ্জুরি দেয়া একটি কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভারত সরকার ইতিপূর্বে ঘোষণা করেছে ভারতে যে কোন ভ্যাকসিন অনুমতি মঞ্জুরি লাভ করতে হলে ভারতে তার পরীক্ষা চালাতে হবে।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা গেলেও অন্তত চার বছর লাগবে সারা দেশের মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় আনতে। এমনটি জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট এর সিইও আদার পুনাওয়ালা। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ মঞ্জুর করেনি টিকা করনের জন্য। আবার সাধারণ মানুষকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে কিনা সে নিয়ে পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা শোনা গিয়েছে সরকারি বিভিন্ন আধিকারিক এবং মন্ত্রীদের মুখে।