নিউজ ডেস্ক : স্বেচ্ছায় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ না করলে জোর করে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেয়া হবে মোদির বন্ধু এবং মোদী ভক্ত দের তথাকথিত পূজিত ভগবান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ন্যান্সি পোলস জানিয়েছেন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করবে মার্কিন কংগ্রেস। উল্লেখ্য আগামী ২০ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করার কথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেন।
উল্লেখ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এর অনুগামীরা গত ৭ই জানুয়ারি ব্যাপক সংখ্যায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল বিল্ডিং হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে সাময়িকভাবে তার দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। লজ্জার মুখে পড়ে বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র। কোন রকমে গোপন সুরঙ্গ থেকে পালিয়ে বাঁচেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি। তারপর তার ব্যক্তিগত টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও বন্ধ করে দেয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো যাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ভারতের গেরুয়া শিবিরের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা প্রচারের দুই শীর্ষ পান্ডা অমিত মালভ্যা এবং তেজস্বী সূর্য। তবে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়া, বিরোধী দল এবং নিজের দলের মধ্যে থেকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ও চাপের মুখে বলেন, “যে সমস্ত মানুষ হিংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন না।” সেদিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বপ্রথম নির্বাচনে নিজের পরাজয় স্বীকার করে বলেন, “এখন আমি মসৃণ এবং সুশৃংখল পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর ত্বরান্বিত করতে চান।”
অন্যদিকে আমেরিকার হবু রাষ্ট্রপতি সবাইকে এই ঘটনাকে আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “যারা এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাদেরকে প্রতিবাদকারী বলা যায় না তারা আসলে দাঙ্গাকারী জনতা।”
ওই হিংসাত্মক ঘটনার পর থেকেই ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবি উঠছে রিপাবলিকান পার্টির বিভিন্ন সদস্যের মুখ থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির বিশিষ্ট সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মন্তব্য করেছেন, “জবাবদিহিতার প্রশ্ন আসলে বলতেই হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা করেছেন তা কোনো সমাধান নয় বরং সমস্যা।” বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বহু সেনেটর এবং রিপাবলিকান পার্টির কিছু সেনেটর ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন পরিবহন সচিব এবং শিক্ষা সচিব। তবে ট্রাম্পের সুর নরমের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি সহজ হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞরা।