নিউজ ডেস্ক : রাজনৈতিক মহলে অনেকের ধারণা, ভারতে ক্ষমতায় আসা, ক্ষমতায় টিকে থাকা, নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানো, নিজেদের মতাদর্শ প্রচার করা, বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ করা, বিরোধী নেতা নেত্রীদেরকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করা, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদকে বিভিন্ন কলঙ্ক জনক তকমা লাগিয়ে দমন করা এই সব কাজেই বিজেপি নামক রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা ব্যবহার করেন এক বিশেষ সূত্র। এই সূত্র গঠিত হয় মূলত পাকিস্তান, মুসলিম, ইসলাম, বাংলাদেশি, জঙ্গি, খালিস্তানি, মাওবাদী এবং দেশদ্রোহী শব্দগুলির সমন্বয়ে। বিজেপির সাধারণ পর্যায়ের কোনো নেতা-নেত্রীকে এই শব্দগুলি বাদ দিয়ে ঘন্টাখানেক বক্তৃতা দিতে বললে তারা যে পারবেন না সেটা সুস্পষ্ট। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বেশিরভাগ বক্তৃতাতে তাই এ শব্দগুলোর সাহায্য নেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এবার সেই সূত্রের প্রয়োগ হলো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দলের জনপ্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আক্রমণ করার জন্য। এই আক্রমণ করা হল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসের কট্টর সমর্থক আনন্দ শুক্লা নামক এক গেরুয়া উগ্রবাদীর দ্বারা। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ‘ইসলামিক জঙ্গি’ বলে তকমা দেন।
কট্টর উগ্রবাদী এই যোগী মন্ত্রী আরো বলেন, ভারতীয়দের বিশ্বাস করেন না এবং তিনি হিন্দু দেবদেবীদেরও অপমান করেছেন”। মন্ত্রী বলেন, “উনি একজন মুসলিম জঙ্গি। মন্দির ভাঙানোর কাজও করেছেন। বাংলার দেব-দেবী ঠাকুরদের অপমান করেছেন। উনি বাংলাদেশীদের মত আচরণ করে থাকেন।”
যোগীর মন্ত্রিসভার সংসদ বিষয়ক এই মন্ত্রী নির্লজ্জভাবে মুসলিমদেরকে দেশবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যারা ভারতে থেকে ভারত মাতা কি জয় বন্দেমাতারাম এর মত স্লোগান গাঙ্গুলি দেবে তাদেরকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হবে। মমতা ব্যানার্জি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই মন্ত্রের আচরণে হতবাক সবাই। তবে বিজেপির নেতা নেত্রীদের দ্বারা এমন আক্রমণ প্রায়শই নয় প্রতিদিনই হয়।